যশোর মণিরামপুরে মসজিদের জমিদাতাকে মারপিট করে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের লেবুগাতি গোয়ালপাড়া জামে মসজিদের জমিদাতা আ. হান্নান ভূইয়াকে বেধড়ক মারপিট করা হয়েছে। একই সাথে মসজিদের নাম করে তার জমি দখল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় তিনি সিনিয়ির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মণিরামপুর আমলি আদালতে মামলা করেছেন। মামলার অভিযুক্তরা হলো, লেবুগাতি গ্রামের শাহাজাহান আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর, হোসেন আলীর ছেলে আহাদ আলী, আইয়ুব আলী, আদম আলী, মৃত সালামতুল্লাহ ছেলে মতিয়ার রহমান, আ. রহমানের ছেলে সোহেল।অভিযোগে হান্নান ভূইয়া উল্লেখ করেছেন, অভিযুক্তদের সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর লেবুগাতি বাজারে নুরুন্নবী মুদি দোকানের সামনে পৌছুলে জাহাঙ্গীর, সোহেলসহ অন্যান্যরা তাকে লোহার রড, রামদা ও বাঁশের লাঠি দিয়ে মারপিট করে।

এসময় হান্নানের কাছ থেকে ১লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় আদালত তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য মণিরামপুর থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।হান্নান ভূইয়া জানান, গোয়ালপাড়া জামে মসজিদকে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা মোট ৪ শতক জমি দান করেছি। তারপরও মসজিদের ঈমাম ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মাওলানা আল মামুন আরো দুই শতক জমি দাবি করেন। জমি দিতে রাজি না হলে তিনি জোর করে দখলের জন্য গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর নির্দেশ দেয়। পরদিন বহিরাগতদের দিয়ে ওই জমি দখলে নিতে আসে। এসময় হান্নান তাদেরকে বাধা দিলে তারা তাকে মারপিট করে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। এসময় মসজিদ কমিটি থানার পুলিশকে জানায়।

থানার এসআই মাসুম বিল্লাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এব্যাপারে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও ঈমাম মাওলানা আল মামুন জানান, হান্নানের জমি দখলের কোন ঘটনা ঘটেনি। মসজিদের পাশেই জমির মালিক যদি জমি না দেয়, তাহলে জোর করে জমি নেয়া যায় না। আমরাও নেব না। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, মসজিদের হিসাব ঠিক মত দেয়া হয়। তবে মসজিদের নামে কোন ব্যাংকে হিসাব খোলা হয়নি।এ ব্যাপারে কাশিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌহিদুর রহমান জানান, বহিরাগতরা জমিদাতা হান্নানকে মারপিটের ঘটনায় গোয়ালপাড়া বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দের নিকট শান্তিপূর্ণ সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার কাছে অভিযোগ রয়েছে, মসজিদ কমিটির লোকজন বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দের উদ্যোগকে সাড়া দেয়\ এমনটি সালিশী বৈঠক করার কথা থাকলেও তারা যায়নি।