যশোরে হোটেল শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল

যশোরে এক হোটেল শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহত হোটেল শ্রমিক বিল্লাল হোসেন শহরের প্রাণকেন্দ্র চিত্রা মোড়ে নিউ স্টার হোটেলে কর্মরত ছিলেন। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে হোটেল শ্রমিকরা দাবি করেছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন।

হোটেল শ্রমিকরা বলছেন, বিল্লাল হোসেন নামে ওই শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকা-ের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে মালিকপক্ষ।
তারা জানান, দুপুরে হোটেল শ্রমিক বিল্লাল হোসেনের লাশ দেখতে পায়। সাথে সাথে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর হোটেল মালিক মঈনুল ইসলাম তড়িঘড়ি করে লাশটি বিল্লালের গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ফলে বিল্লালের মৃত্যু নিয়ে ধু¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তাকে হত্যা করে লাশটি গুম করার উদ্দেশ্যে মালিক পক্ষ কাউকে কিছু না জানিয়ে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে।

যশোর জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম জানান, তাদের ইউনিয়নের সদস্য বিল্লাল হোসেন। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, হোটেল শ্রমিক বিল্লাল হোসেনকে যদি হত্যা না করা হয়, তাহলে কেন তড়িঘড়ি করে লাশ পাচার করা হলো। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, শহরে যেসব হোটেল আছে তারা সবাই শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য। মালিক মঈনুল ইসলাম তাকে হত্যা করে লাশ গুম করতে চেয়েছিলো। আমরা এ ব্যপারে আইনি লড়াইয়ে যাব। কোন হোটেল শ্রমিককে হত্যা, নির্যাতন করে মালিক পক্ষ রেহাই পাবে না।
হোটেল মালিক মঈনুল ইসলাম বলেন, বিল্লাল হোসেন স্টোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। আমি তার লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশানে নিয়ে যাচ্ছি। ৩০ হাজার টাকা খরচ হবে।

হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন দাবি করেছে, বিল্লাল হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার হোটেলে কোন ইউনিয়নের শ্রমিক কাজ করে না। তিনি আরো বলেন, আমি কোন শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যকে কাজে নিই না।
যশোর কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম রাত পৌনে আটটায় বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজখবর নিয়ে বলতে পারবো। আমি বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।