যশোরে হামলা ও স্বর্ণালংকর লুটের ঘটনায় মামলা

ভাইজির সাথে ঝালেমা মিমাংসা করতে এসে হামলার শিকারে ফুফু,দাদী রাজিয়া বেগম প্রতিবেশী ও ভাইজিসহ চারজন আহত ও স্বর্নালংকর ছিনিয়ে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে একই পরিবারের স্বামী স্ত্রী মেয়েসহ পাঁচজনকে আসামী করে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার ১৬ আগষ্ট রাতে মামলাটি করেন, যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়ার শাহ জামালের স্ত্রী মোছাঃ রোকেয়া খাতুন। আসামীরা হচ্ছে, যশোর শহরের রেলষ্টেশন (ষষ্টিতলা) এলাকার পাঠা সুমন, মৃত করিব বক্সের ছেলে পাঠা সুমনের জামাতা ইমন, পাঠা সুমনের স্ত্রী মোছাঃ জুলিয়া পারভীন মিরা, পাঠা সুমনের মেয়ে মোছাৎ ফারিহা জান্নাত বিভা ও শহরের বারান্দীপাড়া ফুলতলার মিষ্টির মেয়ে মোছাঃ সুমাইয়া ইসলাম সূচিসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, বাদির ভাইজি লুৎফর রহমানের মেয়ে সুরাইয়া আক্তার লাবনী এর সাথে তার বান্ধবী ফারিয়া জান্নাত বিভা ও মোছাঃ সুমাইয়া ইসলাম সূচির ঝামেলা সৃষ্টি হলে বিষয়টি মিমাংসার জন্য বাদি ও তার ভাইজি লাবনীকেসহ প্রতিবেশী হুমায়ূন কবিরের মেয়ে মোছাঃ রুশা ইসলাম, বাদির মাতা মোছাঃ রাজিয়া বেগমকে নিয়ে পাঠা সুমনের বাড়িতে যায়। গত ১২ আগষ্ট রাত অনুমান ১১ টায় পাঠা সুমনের বাড়িতে বসে বিরোধের বিষয়ে কথাবার্তা বলার এক পর্যায় সকল আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাদিসহ তার ভাইজি লাবনী এবং রুশা ইসলাম ও বাদির মাতা রাজিয়াকে এলোপাাতাড়ীভাবে কিল ঘুষি,চড়,থাবা ও লোহার রড দিয়ে লাবনীর হাতে,পায়ে,বুকে,পিঠে,মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে গুরুতর জখম করে ইমন লাবনীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা টিপে শ^াসরোধ করার চেষ্টা করে। ফারিবা জান্নাত বিভা লাবনীর চুলের মুঠো ধরে এক গুচ্ছ চুল উপড়ে ফেলে। পাঠা সুমন বাদির পরনের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। ইমন বাদির বাম হাতের বাহুতে কামড়ে দেয়। সুমাইয়া ইসলাম সূচি বাদির গলায় থাকা ৪ ভরি ২ আনা একটি সোনার চেইন যার মূল্য ৪লাখ টাকা জোর পুর্বক কেড়ে নেয়। জুলিয়া পারভীন মিরা বাদির মায়ের ডান হাতে কামড়িয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পাঠা সুমন রুশা ইসলামকে লোহার লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কপালের ডান পাশে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। বাদিসহ তার আত্মীয় স্বজনের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা প্রকাশ্যে হত্যার হুমকী দিয়ে চলে যায়। তৎক্ষনিক আহত অবস্থায় লাবনী,ভাইজির পূর্ব পরিচিত জুই, প্রতিবেশী রুশা ইসলাম ও বাদির মাকে দ্রæত যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিৎিসার ব্যবস্থা করে।