যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে একদল ডাক্তার-কর্মচারী সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা সাংবাদিকদের গায়ে হাত তোলাসহ ক্যামেরা ভাংচুরের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পুলিশ ডেকে সাংবাদিকদের আটক করানোর চেষ্টা করেন হারুন। ঘটনাটি জানাজানির পর সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের গণমাধ্যমকর্মীদের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার (২৭ আগস্ট) দুপুরে তত্ত্বাবধায়কের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তরের যশোর প্রতিনিধি এসএম ফরহাদ জানান, যশোরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশিদকে ফোন করা হলে তিনি বলেন- এসব বিষয় ফোনে বলা সম্ভব না। তিনি তার কার্যালয়ে আসার কথা বলেন। এরপর এসএম ফরহাদ, তার ক্যামেরা পারসন শাহারুল ইসলাম ফারদিন ও বিটিভির যশোর প্রতিনিধি ওহাবুজ্জামান ঝন্টু তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে যান।
কিন্তু কোনকিছু বুঝে ওঠার আগেই রহস্যজনক কারণে বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। তিনি সাংবাদিকদের ক্যামেরা, বুম ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ধস্তাধস্তিতে লিপ্ত হন। এসময় সাংবাদিকরা আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। তখন তত্ত্বাবধায়ক হারুন তার পক্ষীয় বেশ কয়েকজন ডাক্তার ও কর্মচারী ডেকে ফের সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে ফোনে পুলিশ ডেকে সাংবাদিকদের আটক করানোর চেষ্টা করেন। এসময় ক্যামেরা পারসন শাহারুল ইসলাম ফারদিনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
এ ঘটনায় সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
সাংবাদিকদের কয়েকটি সংগঠন তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি সভা করে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশিদ দায়িত্ব গ্রহণের পর অনিয়ম-দুর্নীতি জেঁকে বসেছে। ডাক্তার-কর্মচারী, কথিত স্বেচ্ছাসেবক ও টাউট-বাটপার একাট্টা হয়ে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা রোগী ও তাদের স্বজনদের পকেটকাটা জোরদার করেছে। এরফলে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। থলের বিড়াল বেরিয়ে আসার আতঙ্কে থাকা তত্ত্বাবধায়ক হারুন বেসামাল হয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।
এদিকে, পুরো ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন যশোর সিভিল বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস ও প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন।