যশোর জেলার সব চেয়ে বড় ১৭ টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও ছোট বড় প্রায় ১৩টি বাজার নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন ৮৯ যশোর-৫ । এ আসনে আওয়ামীলীগের ন্যায় বিএনপি ও অন্যান্য দলের প্রার্থীর ছড়াছড়ি। এর মধ্যে আওয়ামীলীগের ১১ জন,বিএনপি’র ৪ জন ও অন্যান্য দলের ৪ জনের নামে উঠে এসেছে। প্রার্থীরা বিভিন্নভাবে কৌশল অবলম্বন করে এলাকায় উঠাবসা করছেন।
এর মধ্যেও জোটবদ্ধ হিসেবে প্রার্থী হওয়ার জন্য কেন্দ্রে দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছেন অনেকে। আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন তাতে করে তিনি যেন যশোর-৫ আসনে নৌকার মাঝি হিসেবে নির্বাচনে থাকতে পারেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে ভোটার রয়েছেন, ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩শ’ ৪৬জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭৯ হাজার ৪১জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩শ’ ৩জন বলে যশোর সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আনিছুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।
এলাকায় খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেছে,যশোর-৫ আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হওয়ার আশায় ১১ জনের নাম শোনা গেছে। এরা হচ্ছে,এই আসনে বর্তমান এমপি ও প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য,জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ,আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ব্যবসায়ী এস এম ইয়াকুব আলী, আওয়ামীলীগ নেতা কামরুল হাসান বারী,প্রয়াত এমপি এ্যাডভোকেট খান টিপু সুলতানের সহধর্মিনী ডাক্তার জেসমিন আরা,ছেলে কেন্দ্রীয় যুবলীগ ও জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য হুমায়ূন সুলতান, যশোর জেলা যুবলীগের সভাপতি ও যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগের পরীক্ষিত নেতা মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী,মণিরামপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু,বর্তমান উপজেলার চেয়ারম্যান নাজমা খাতুন। এ ছাড়াও এ আসন থেকে বর্তমান এমপি ও প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের সহোদর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভা শহিদুল ইসলাম মিলনের নাম প্রার্থী হিসেবে গুঞ্জন রয়েছেন।
অপরদিকে, জাতীয়তা বাদী দল বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন, মণিরামপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মুছা, জাতীয়তাবাদী দল স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখার সেলিম অগ্নি।
এছাড়াও জাগপার কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও যশোর জেলার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিজামউদ্দিন অমিত, যশোর নগর বিএনপির সাবেক সম্পাদক মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী প্রার্থী গাজী এনামুল হক, জাতীয় পার্টির যশোর জেলার সভাপতি শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী ও মণিরামপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এমএ হালিমের নামও শোনা যাচ্ছে প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জনে।
যশোর জেলার সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত যশোর-৫ আসনে ভোটারগন সব সময় এলাকায় উন্নয়ন ও স্থায়ী জলাবদ্ধতা দূরসহ তাদের পাশে যিনি থাকবেন এমন কাউকে তারা নির্বাচিত করতে চান। প্রার্থী হওয়ার আশায় ইতিপূর্বে অনেকে এলাকার বিভিন্ন বাজার এলাকায় গন সংযোগ করছেন যাতে দলীয় প্রার্থী হিসেবে তিনি টিকিট পান। তবে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হওয়ার জন্য অনেকে আশা ব্যক্ত করেছেন। তারা ইতিপূর্বে প্রার্থী হিসেবে যাদেরকে দেয়া হয়েছেন তাদের কর্মকান্ড তুলে ধরেছেন বিভিন্নভাবে। তারপরও যশোর-৫ আসনে আওয়ামীলীগ,বিএনপি ও অন্যান্য দলের কারা প্রার্থী হবেন এখন দেখার অপেক্ষায় এই আসনের ভোটারগন।