কোন শক্তিই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে আর ক্ষমতায় রাখতে পারবে না

যশোরে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন,কোন শক্তিই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে আর ক্ষমতায় রাখতে পারবে না। জনগণের কাছে তাকে মাথা নত করতেই হবে। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতেই হবে। দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার জেলা বিএনপি আয়োজিত শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। শহরের ভোলা ট্যাংক রোডে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন,জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।

সমাবেশে এই বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, আজ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের জনগণ পাকিস্তানী বাহিনীর যে বিভৎসতা দেখেছিল,আজ স্বাধীন দেশে প্রতিনিয়ত একই দৃশ্য দেখতে হয়। পুলিশ আজ দেশের রাজা হয়েছে। শেখ হাসিনার পকেট থেকে নয়,রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে তাদের বেতন ভাতা হয়। সংবিধান তাদের জনগণের সেবা করার ক্ষমতা দিয়েছে,শাসন করার ক্ষমতা দেয় নাই। অথচ সেই পুলিশ আজ শেখ হাসিনার অবৈধ ক্ষমতা রক্ষার জন্য কথায় কথায় বিএনপি কর্মীদের গুলি করে। মৃত মানুষের নামে পর্যন্ত মামলা করে। পুলিশ সদস্যদের জনগনের মুখোমুখি না হয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো আহ্বান জানান। জনগনের শক্তি হয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধেরর চেতনার কথা বলে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি গুম,খুন আর মুদ্রা পাচার? মুক্তিযুদ্ধেল চেতনা আর গুম খুন মুদ্রা পাচারের চেতনায় এক নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল স্বাধীন বাংলাদেশে সামাজিক ন্যায় বিচার,অর্থনৈতিক মুক্তি,সামাজিক শোষণ ব না থেকে মানুষের মুক্তি। সর্বোপরি একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। যে দেশে গণতন্ত্র থাকবে,সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকবে,মানুষের বাক স্বাধীনতা থাকবে। এই লক্ষ্য সামনে রেখে আমরা সেদিন শহীদ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। আজকে আওয়ামী লীগ যে ভাবে মানুষ খুন করে পাকিস্তানীদের হার মানায়। এই বাংলাদেশ দেখার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি।

শেখ হাসিনা জনগণের লুটপাটের অর্থে ভাগ পায়,যে কারণে লুটাপাট কারীদের কিছুই বলে না।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমানের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড.সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু,ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ূব,জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ,জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক উপাদ্যক্ষ মকবুল হোসেন,জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী বেগম,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রবিউল ইসলাম,জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে প্রধান অতিথির নেতৃত্বে ভোলা ট্যাংক রোড থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভা যাত্রাটি মুজিব সড়ক,সিভিল কোর্ট মোড়,এম এম আলী রোড,রেল রোড,চৌরাস্তা মোড় আর এন রোড হয়ে মনিহার খুলনা বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন,জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম রেজা দুলু,আব্দুস সালাম আজাদ,এ কে শরফুদ্দৌলা ছোটলু,মারুফুল ইসলাম,মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু,কাজী আজম,সিরাজুল ইসলাম,নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ,সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু,সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক,আশরাফুজ্জামান মিঠু,মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড.শহীদ ইকবাল হোসেন,অভয়নগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারাজি মতিয়ার রহমান,ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোর্ত্তজা এলাহী টিপু,শার্শা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুজ্জামান মধূ,চৌগাছা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম,বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শামসুর রহমান,কেশবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস প্রমুখ।