বেনাপোল পোর্ট থানার কতিপয় সোর্স আলমগীর হোসেনের কপাল খুলছে

দেশের স্থল বন্দর বেনাপোলে পোর্ট থানায় পুলিশের কতিপয় সোর্স
আলমগীর হোসেন আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছে। তিনি পোর্ট
থানা পুলিশের কর্তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে আটক ও মুক্তি
বাণিজ্য এবং বিভিন্ন কৌশল নিয়ে বাড়ি গাড়ির মালিক বনে গেছে।
বর্তমানে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা কর্মী তার অর্থ উপার্জনের
কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তার কর্মকান্ড গোটা বেনাপোল
পোর্ট থানা এলাকাসহ আশপাশ এলাকায় কারও অজানা নয়।

বেনাপোল পোর্ট থানা সূত্রে জানাগেছে, আলমগীর হোসেন নামে
এক যুবক থানার কথিত সোর্স পরিচয় দিয়ে নিজের আখের গোছাতে
অতি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। পোর্ট থানায় কর্মরত এসআই, এএসআইদের
অভিযানকে পুঁজি করে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার টাকা উপার্জন
করছে। বর্তমানে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থানা
পুলিশের অব্যাহত অভিযান কথিত সোর্স আলমগীর হোসেনের পকেট
ভারী হচ্ছে। সম্প্রতি বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ বিরোধীদলের ৪
নেতাকর্মীকে আটকের পর আলমগীর হোসেনের মধ্যস্থতায় ছেড়ে
দিয়েছে।

থানার নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলেছে, পুলিশের হাতে গত
অক্টোবর মাসে রাতে আটক হয় বেনাপোল দিঘীরপাড় এলাকার মৃত দীন
মোহাম্মদের ছেলে সহোদর মোশারফ ,বড় আঁচড়া গ্রামের মৃত সাহেব
আলীর ছেলে রিপন, গয়ড়া আদম মোড়ের মৃত মহব্বতের ছেলে শাহিন ও
বেনাপোল তালশারী গ্রামের জুলফিকারের ছেলে রনি। তাদেরকে রাতের
আধারে পোর্ট থানার কথিত সোর্স আলমগীর হোসেনের মধ্যস্থতায়
মোটা অংকের লেনদেনের মাধ্যমে পোর্ট থানার এসআই বাশার ও
এএসআই জাহিদ ছেড়ে দেয়।

আলমগীর হোসেন বেনাপোল পোর্ট
থানাকে পুঁজি করে সে ওই থানার অধীনে বিভিন্ন গ্রাম
সীমান্তবর্তী এলাকার বিভিন্ন বাড়ি ঘর গুলিতে অভিযান চালিয়ে
বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের আটক বাণিজ্যে মেতে উঠেন।
তাছাড়া,পোর্ট থানা পুলিশ বেনাপোল এলাকায় বিভিন্ন

চোরাচালানী পন্য ও মাদকদ্রব্যসহ আটক করলে আলমগীর হোসেনের
মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত ও অবৈধ পন্যের মালিকদের সাথে যোগাযোগ
রক্ষা করে রাতারাতি ছাড়া পেয়ে যায়। সূত্রগুলো বলেছে,পোর্ট থানার
কথিত সোর্স আলমগীর হোসেন তার কৌশলগত কারবার করে ওই থানার
অর্ন্তগত তালশারী মোড়ে দোতলা বাড়ি এবং দু’টি কার্ভাডভ্যান ট্রাক
কিনেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেনাপোল বাজারের লোকজন
জানান, সম্প্রতি আলমগীর হোসেন তার ভাইপো নাজমুল কর্তৃক
চোরাই মোবাইল এক মোবাইলের দোকান্দারের কাছে বিক্রি করে পোর্ট
থানা পুলিশের এক এসআইয়ের মাধ্যমে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোবাইল
উদ্ধার করতে এসে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা থানার এসআইকে জানান
মোবাইল বিক্রেতা নাজমুলকে আটক করলে বেরিয়ে আসবে মোবাইল
চুরির কাহিনী। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদের মুখে পোর্ট থানার
এসআই মোবাইল উদ্ধার থেকে পিছু হটে। চোরাই মোবাইল বিক্রেতা
নাজমুলকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

অপর সূত্রগুলো বলেছে,আলমগীর
হোসেন বেনাপোল পোর্ট থানার অধীনে যে সব চোরাচালানী ও মাদক
ব্যবসায়ী রয়েছেন তাদের গ্রেফতার এড়াতে পোর্ট থানার কতিপয়
অর্থলোভী কর্তাদের সাথে চুক্তি সমন্বয়করে একটি কমিশনের টাকা
তিনি পকেটস্থ করেন। আলমগীর হোসেনের কার্যকলাপে স্থানীয় সংবাদ
কর্মীরা অতিষ্ট। আলমগীর হোসেনের কার্যকলাপে বেনাপোলের বিভিন্ন
পেশার মানুষ ও বাসিন্দাদের মধ্যে নানান গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে
পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন
মহল।