না চাপলেও পানি উঠছে দুটি টিউবওয়েলে!

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পার শ্রীরামপুর গ্রামে না চাপলেও পানি উঠছে দুটি টিউবওয়েলে। চাপতে হচ্ছে না হাতল। লাগানো নেই বৈদ্যুতিক কোন মটর। তবুও এক টানা পানি উঠছে টিউবওয়েলে। যেন ঝরণার পানি ঝড়ছে টিউবওয়েল দুটি দিয়ে। সেই পানি নিয়ে হাত, মুখ ধোয়া, গৃহস্থলির কাজসহ ব্যবহার করা হচ্ছে সব ধরণের কাজে। এই টিউবওয়েল থেকে দু’একদিন নয় টানা গত ৪ মাস যাবত এভাবেই অনবরত পানি উঠছে দুটি টিউবওয়েল থেকে। টিউবওয়েল থেকে অনবরত পানি বের হওয়ায় এলাকার মানুষের মাঝে আগ্রহ ও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। আর এমন দুটি টিউবওয়েলের সন্ধান মিলেছে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার পার শ্রীরামপুর গ্রামে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, পার শ্রীরামপুর গ্রামের পালপাড়ার রাস্তা পাশে চিত্রা নদীর ধারে গৃহস্থলির কাজের জন্য দুটি টিউবওয়েল স্থাপন করে স্থানীয় দুই বাসিন্দা। গত ৪ মাস আগে থেকেই ঐ দুটি টিউবওয়েল থেকে অনবরত পানি বের হচ্ছে। প্রথমে বিষয়টি অবাক লাগলে এখন অনেকের কাছে তা স্বাভাবিক। অনেকে আবার প্রথম দেখে হতবাক হচ্ছেন। পথচারী, পার্শবর্তী এলাকার মানুষ এসে এমন পানি উঠা দেখে অবাক বনে যাচ্ছে। স্থানীয় পাল সম্প্রদায় তাদের কাজে ব্যবহারের জন্য সেই পানি ব্যবহার করছেন। হাতল চাপতে হচ্ছে না তাই কষ্টও অনেকটা লাঘব হয়েছে।

শ্রীরামপুর গ্রামের হরেন্দ্রনাথ জানান, আমাদের গ্রামের দুটি টিউবওয়েলে অনবরত বিগত চার মাস ধরে এ ভাবেই পানি উঠেই যাচ্ছে। তবে কোন প্রকার চাপ দেওয়া লাগেনা। অটোই উঠে পানি। আর আমাদের খাবার পানির প্রয়োজন হলেই এখানে এসে পানি নিয়ে যায়। এই পানি দিয়ে অনেককেই গোসল করতে দেখি।

একই গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান, আমাদের গ্রামে বেশ কিছু কুঠির শিল্পের সাথে কাজ করে এমন পাল পরিবার আছে। এই শিল্পের সাথে কাজ করা পাল পরিবার গুলো কাজ করেন তারাই মুলত এই অটো পানি নিয়ে কাজ করে কারণ এদের হাতল দিয়ে পানি চাপতে হয়না। অটো পানি ওঠার কারনে তাদের কাজ করতে অনেক সুবিধা হচ্ছে। চাপ দিয়ে পানি তুলতে হলে তাদের একটু কষ্ট হয়।

টিউবওয়েলের মালিক রনজিত কুমার জানান, আমাদের টিউবওয়েল চাপা লাগেনা। অনবরত ভাবে দির্ঘ ৩ থেকে ৪ মাস ধরে এভাবেই পানি উঠছে। হাতল চাপা লাগে না। এই পানি সকল কাজে ব্যবহার ও খাওয়ার উপযোগী মনে করি। এমনকি আমরা নিয়মিত এই টিউবওয়েলের পানি পান করা সহ সকল কাজ কর্মে ব্যবহার করি।

অপর টিউবওয়েলের মালিক অনিল কুমার জানান, দির্ঘ ৩ থেকে ৪ মাস ধরে এভাবেই আমার টিউবওয়েলেও পানি উঠছে। এই পানি আমরা খেয়ে থাকি। সকল কাজে ব্যবহারও করছি। হাতল চাপা লাগেনা তাই আমাদের কুঠির শিল্পের কাজে বেশ উপকারী হচ্ছে। আমাদের পানির ব্যবহার বেশী থাকায় আর অনবরত পানি উঠার কারণে বেশ উপকারী হচ্ছে পানিতে।

উল্লেখ্য, কালীগঞ্জ-জামতলা সড়কের পারশ্রীরামপুর গ্রামের পালপাড়ায় স্থানীয় বাসিন্দা রনজিত গত বছর ও অনিল কয়েকবছর আগে টিউবওয়েল দুটি স্থাপন করেন।