যশোর সদরের রামনগর ভাটপাড়া এলাকায় নিখোঁজ কিশোর তানভির হাসান নিশান (১৪)এর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিশান ভাটপাড়া আলিয়া মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাশের দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় সে। এরপর নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। ওই সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
পরিবারের দাবি, রাত ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি নিশানের মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে পাঁচ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং কিছুক্ষণ পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
আজ সোমবার দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরে কাজ করার সময় স্থানীয় এক ব্যক্তির পায়ে কিছু লেগে গেলে সন্দেহ তৈরি হয়। পরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পুকুরের নিচে চাপা দেওয়া অবস্থায় নিশানের মরদেহ পাওয়া যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কিশোরের হাত-পা লুঙ্গি দিয়ে বাঁধা ছিল এবং মরদেহটি পাথর দিয়ে চাপা দেওয়া হয়েছিল।
স্থানীয়দের ধারণা, মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে নিশানকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
খবর পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত খান সাংবাদিকদের বলেছেন, “বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।”