যশোরে পুলিশের পরিচয়ে এক অভিযোগকারীর বাড়িতে গিয়ে তদন্তের নাটক করেছেন দুই অজ্ঞাত ব্যক্তি। পরে তদন্তে জানা যায়, তারা কেউই পুলিশের সদস্য নন। ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন অভিযোগকারী ও তার পরিবার।
ভুক্তভোগী লুৎফর রহমান জানান, তিনি সম্প্রতি বহিষ্কৃত তিন বিএনপি নেতাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২৭ জুন যশোর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ৩০ জুন দুপুর ১২টার দিকে তার গ্রামের বাড়ি, সদর উপজেলার ফরিদপুরে, দুই ব্যক্তি গিয়ে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে অভিযোগ তদন্তে এসেছে বলে দাবি করেন। ওই সময় লুৎফর রহমান ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।
লুৎফর রহমান জানান, পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে ফোনে যোগাযোগ করলে একজন নিজেকে এসআই পলাশ বলে পরিচয় দেয়। তবে তারা কেউই কোনো মোবাইল নম্বর দিতে রাজি হননি। কথাবার্তায় সন্দেহ হলে পরিবারের সদস্যরা গোপনে ভিডিও ধারণ করেন, যাতে দেখা যায় একজনের কোমরে পুলিশের ব্যবহৃত ওয়্যারলেস সেট রয়েছে।
পরে তারা অভিযোগের কপি ও অন্যান্য কাগজপত্র মোবাইলে না পাঠিয়ে বাড়ির নম্বরে পাঠাতে বলেন। এতে সন্দেহ বাড়লে লুৎফর রহমান কোতোয়ালি থানায় যোগাযোগ করেন। তদন্তে জানা যায়, থানায় এসআই পলাশ নামে কেউ কর্মরত নন। এমনকি ডিবি, সিআইডি বা পিবিআই— কোনো সংস্থা থেকেও ওইদিন তাদের বাড়িতে কেউ যাননি।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঘটনার পর থেকে লুৎফর রহমান ও তার পরিবার চরম উদ্বেগ ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের আশঙ্কা, পুলিশ সেজে আসা এই ব্যক্তিরা ভবিষ্যতে আরও বড় ক্ষতির চেষ্টা করতে পারে। ঘটনায় ভুয়া পরিচয়ে প্রতারণা, অনুপ্রবেশ ও নিরাপত্তা হুমকির বিষয়টি সামনে এসেছে।