বৃহত্তর আন্দোলনের লক্ষ্যে এগোচ্ছে বিএনপি

bnp logoডেস্ক রিপোর্ট: আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহত্তর আন্দোলনের লক্ষ্যে এগোচ্ছে বিএনপি। কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি সংলাপের দাবিতে কড়া কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামবে দলটি। নির্বাচন ইস্যুতে রাজনৈতিক সংলাপের দাবিতে যুক্তফ্রন্টসহ দুই জোটের বাইরে থাকা কয়েকটি রাজনৈতিক দল একাত্মতা ঘোষণা করবে সে আন্দোলনে। পরিবর্তন আসবে দলটির বর্তমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ধরনে। জনমত, রাজপথ, কূটনীতিক- নানামুখী চাপ সৃষ্টি করা হবে সরকারের ওপর। সরকারের তরফে ইতিবাচক সাড়া না এলে নির্বাচনকালে নিরপেক্ষ সরকারই হবে সে আন্দোলনের চূড়ান্ত দাবি।

কড়া ও কার্যকর কর্মসূচির সমন্বয়ে আন্দোলন হবে স্বল্প মেয়াদি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ধরনে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছে বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের দাবি আদায় সম্ভব নয়। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে আসা দলটির নেতারা সপ্তাহখানেক ধরে তাদের বক্তব্যে ‘কড়া’, ‘কঠোর’ ও ‘কার্যকর’ শব্দগুলো ব্যবহার করছেন। দলটির নীতি নির্ধারক ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সে ধরনের আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের আহ্বান জানাচ্ছেন। সে লক্ষ্যে সাংগঠনিক সফর, ত্বরিৎগতিতে সাংগঠনিক পুনর্গঠন, কূটনীতিক লবিংসহ নানা তৎপরতা জোরদার করেছে বিএনপি। আসন্ন ঈদুল ফিতরের পর চলমান আন্দোলনকে নতুন গতি দেয়া হবে এবং চূড়ান্ত আন্দোলন হবে ঈদুল আজহার পর। সার্বিকভাবে সরকার পতনের ‘এক দফা’র লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি নেতারা।

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি ও ২০ দল। দুই বড় জোটের বাইরে থাকা কয়েকটি রাজনৈতিক দলও সে নির্বাচনে অংশ নেয়নি। সে সময় সাংবিধানিক বাধ্যবাদকতার দোহাই দিয়েছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিএনপিসহ রাজনৈতিক মহলের ধারণা ছিল একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে সরকার। কিন্তু সে ধারণা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হয়। নির্বাচনের পর প্রথম দুই সপ্তাহ একধরনের এলোমেলো পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে শক্ত একটা অবস্থান তৈরি করে সরকার। সে নির্বাচনের এক বছরের মাথায় কড়া কর্মসূচির সমন্বয়ে লাগাতার আন্দোলন করেছে বিএনপি। তবে সরকারের কঠোর মনোভাবের কারণে একপর্যায়ে গন্তব্যহীনভাবেই স্তিমিত হয় বিএনপির সে আন্দোলন। উল্টো সে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বহু নেতা হতাহত হন। দলের শীর্ষ নেত্রী থেকে তৃণমূল পর্যন্ত লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের হয় গণ্ডা গণ্ডা মামলা। অনেকের মামলার সেঞ্চুরি, ডবল সেঞ্চুরিও পার হয়ে যায়। একপর্যায়ে রাজপথে উত্তাপ সৃষ্টিকারী কর্মসূচিসহ আন্দোলন থেকে সরে আসে বিএনপি। তারপর তিন বছর রাজপথের আন্দোলন এড়িয়ে আসছে বিএনপি। এ সময় জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি, জনমত বৃদ্ধি, আন্দোলন ইস্যুতে হারানো ইমেজ পুনরুদ্ধার ও কূটনীতিক লবিংয়ে জোর দেয়। পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে এসে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার ও বারবার সংলাপের আহ্বান জানিয়ে আসছে। কিন্তু বিএনপির সে আহ্বানকে বারবার প্রত্যাখ্যান করছে সরকার। আগামী জাতীয় নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত ও সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য করার কোনো উদ্যোগই নিচ্ছে না সরকার।
এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে একটি বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার নানামুখী তৎপরতা চালিয়ে আসছিলেন বিএনপির নেতারা। সমপ্রতি দেশের রাজনীতিতে দৃশ্যমান হচ্ছে সে তৎপরতার একটি ইতিবাচক অগ্রগতির স্পষ্ট বার্তা।
রাজনৈতিক বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বড় দুই জোটের বাইরে বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিকল্পধারার সভাপতি প্রফেসর ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার যৌথ নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট নামে একটি তৃতীয় জোট গঠিত হয়েছে। সমপ্রতি তারা নানা আলোচনাসভায় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার হচ্ছেন। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টিও তাদের বক্তব্য-বিবৃতিতে গুরুত্ব পাচ্ছে।

বিএনপি ও যুক্তফ্রন্টের অনুষ্ঠানে দুপক্ষের নেতাদের উপস্থিতিও বাড়ছে। বিএনপি যেমন সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাচ্ছেন, যুক্তফ্রন্টের নেতারাও তার সঙ্গে সুর মেলাচ্ছেন। যদিও এখন পর্যন্ত কিছু কিছু বিষয়ে তাদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে। তবে বিএনপি এবং যুক্তফ্রন্টের নেতারা বলছেন, রাজনৈতিক আদর্শের ভিন্নতার কারণে কিছু বিষয়ে ভিন্নমত থাকা স্বাভাবিক।

তবে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের মতো জাতীয় ইস্যুতে একটি বৃহত্তর ঐক্য গড়তে কোনো বাধা নেই। যেটা হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে জোটের মোর্চা বা বৃহত্তর প্লাটফর্ম। জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই দৃঢ়তা পাচ্ছে যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে বিএনপির ঐক্য এবং পরিষ্কার হচ্ছে তাদের গতিপ্রকৃতি। কয়েক দিন আগে বিকল্পধারার ইফতার মাহফিলে খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্তির প্রক্রিয়ায় বিলম্ব ও প্রতিবন্ধতা সৃষ্টির ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন দলটির সভাপতি ও যুক্তফ্রন্টের আহ্বায়ক সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়া ও সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, একই সঙ্গে লড়াই করতে চাই। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে কোনো শর্ত ছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তি দেয়া উচিত। বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা জানাচ্ছেন, একটি বৃহত্তর আন্দোলনের লক্ষ্যেই এগোচ্ছে বিএনপি। বিশ্বকাপ ফুটবল ও কোরবানির ঈদের পর বৃহত্তর সে আন্দোলনের সূত্রপাত হবে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাকে রাজনৈতিক মামলা দাবি করলেও খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য প্রথম থেকে আইনি লড়াইকেই প্রাধান্য দিয়েছে বিএনপি। দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের অব্যাহত চাপ সত্ত্বেও রাজনৈতিক কৌশলগত কারণে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেই সীমাবদ্ধ তারা। রাজপথ উত্তপ্তকারী যেকোনো ধরনের ঘটনা ও কর্মসূচি এড়াতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের বারবার সতর্ক করেছে দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর তার জামিন প্রক্রিয়ায় বিচার বিভাগের সিদ্ধান্ত ও সরকারের কর্মকাণ্ড দেখে নতুন করে ভাবছে বিএনপি। দলের সিনিয়র নেতা ও খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা প্রথমদিকে জামিনের ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করলেও এখন তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে হতাশা। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজার রায় ঘোষণার পর ৮ই ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠায় বিশেষ আদালত। খালেদা জিয়ার আইনীজীবীরা তার জামিন আবেদন করেন হাইকোর্টে। সেই সঙ্গে নিম্ন-আদালতের সাজার বিরুদ্ধে আপিলও করেন তারা। কিন্তু নিম্ন-আদালত থেকে নথি তলব ও তা প্রাপ্তির বিলম্বের মধ্যদিয়ে পিছিয়ে যায় তার জামিন শুনানি। তারপর দীর্ঘ শুনানি শেষে জামিন দেন হাইকোর্ট। কিন্তু জামিন স্থগিত চেয়ে চেম্বার জজের কাছে আবেদন করে দুদক। চেম্বার জজ তা পাঠিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। প্রাথমিক শুনানি শেষে আপিল বিভাগ দুই মাসের জন্য সে জামিন স্থগিত করেন। আপিল বিভাগের এমন নির্দেশনায় দীর্ঘায়িত হয় খালেদা জিয়ার কারাবাস। ইতিমধ্যে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় আরও কয়েকটি মামলায়। দুই মাস পর কয়েক কার্যদিবসের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ জামিন দিলেও ৩১শে জুলাইয়ের মধ্যে খালেদা জিয়ার আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।

অন্যদিকে কুমিল্লার দুই মামলায় তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করা হয়। সে দুই মামলায় হাইকোর্ট জামিন দিলেও চেম্বার জজ তা স্থগিত করেন। কুমিল্লার দুই মামলায় হাইকোর্টের জামিন স্থগিত রেখে আগামী ২৪শে জুনের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলেছেন আপিল বিভাগ। বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, ৪৯৭-৪৯৮ ধারায় জামিন স্থগিতের কোনো নজির নেই বিগত ১২০ বছরের ইতিহাসে। অন্যদিকে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন খালেদা জিয়া। তার সুচিকিৎসার জন্য জন্য মুক্তি ও বেসরকারি হাসপাতালে রেখে তাকে চিকিৎসা দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। কারা কর্তৃপক্ষ ও সরকারের কাছে আবেদন-নিবেদন করেও মেলেনি কোনো ইতিবাচক উদ্যোগ। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি নেতারা উপলব্ধি করছেন, খালেদা জিয়াকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিতে চায় না সরকার। তাই তার জামিনে মুক্তির প্রক্রিয়া বিলম্ব ও বিচারপ্রক্রিয়ায় তড়িঘড়ি করে তাকে নির্বাচনে অযোগ্য করতে চায়। এমন কি সুচিকিৎসা না দিয়ে শারীরিকভাবেও তাকে রাজনীতি এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে অক্ষম করে ফেলতে চায়। এমন অবস্থায় দলের তৃণমূলে স্লোগান উঠছে, ‘গ্রুপিং যার যার, খালেদা জিয়া সবার’।

পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিএনপি নেতারা বলছেন খালেদা জিয়াকে ছাড়া তারা কোনো নির্বাচনে যাবেন না। সামপ্রতিক সময়ে দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিনিয়র নেতারা তাদের বক্তব্যে ‘খালেদা জিয়াকে ছাড়া’ নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন। খালেদা জিয়ার কারাভোগের সাড়ে তিন মাসের মাথায় এসে তারা বলছেন, কেবল আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে মুক্তি সম্ভব নয়। তারা নেতাকর্মীদের বৃহত্তর ঐক্য সৃষ্টি ও কার্যকর আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। ২৮শে মে এক প্রতিবাদ সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আন্দোলন করেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এটাই সত্য কথা। আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। কোনো স্বৈরাচারী সরকারকে সরানোর জন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই। জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া কোনো আন্দোলন সফল হয় না। তাই জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।’

২৬শে মে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন করছি। তবে এভাবে আন্দোলন করে তাকে মুক্ত করা যাবে না। তাকে মুক্ত করতে হলে কঠোর আন্দোলনের প্রয়োজন। কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। বক্তৃতায় খুব বেশি সাহসী হওয়ার চেয়ে কাজে বেশি সাহসী হতে হবে। তাই ঐক্য ও কার্যকর আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিন।’

ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, শক্তিশালী আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। তবে সে আন্দোলন হতে হবে সঠিক সময়ে। চলমান নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে ক্রমান্বয়ে জোরদার করে সঠিক সময়ে চূড়ান্ত রূপ দিতে হবে। খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম প্রধান আইনজীবী ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ১৮ই মে এক আলোচনা সভায় বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। কেবল আইনি লড়াইয়ে তাকে মুক্ত করা যাবে না। এজন্য রাজপথে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’

চলতি বছরের ১৯শে ফেব্রুয়ারি এক বক্তব্যে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছিলেন, ‘সরকারের কোনো উস্কানিতে নেত্রীর মুক্তির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পরিবর্তন হবে না।’
মাত্র ১০০ দিনের মাথায় ২৯শে মে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বিএনপির আলোচনা সভায় সুর পাল্টে তিনি বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে আইন আদালতের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব নয়। আর এ জন্য আমরা যে ধরনের আন্দোলন করছি। আগামীতে এধরনের কর্মসূচিতে সীমাবদ্ধ থাকবে না। যে ধরনের কর্মসূচিতে স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়, সেই ধরনের কর্মসূচি নিয়ে জনগণের দল হিসেবে বিএনপি মাঠে থাকবে। সামনের দিনে আন্দোলনের কর্মসূচির ধরন পরিবর্তন হবে।’ সূত্র: মানবজমিন