শার্শার নীলকুঠি জঙ্গল পার্কে চলছে অবাধে দেহ ব্যবসা

nilkuthi jongolবেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা উপজেলয় অবস্থিত নীলকুঠি জঙ্গল পার্কে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে অবৈধ দেহ ব্যবসা। প্রকাশ্যে দিবালোকে এ দেহ ব্যবসা চললেও কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই দেখার। নির্ভৃত পল্লী এ পার্কে বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠতি বয়সের মেয়ে এবং কিছু ভাসমান পতিতা এনে পার্কের মালিক ও তার কর্মচারীরা দেহ ব্যবসা করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।

স্থানীয় লোকের অভিযোগ, প্রতিদিন যশোর নাভারন ঝিকরগাছা, কলারোয়া, সাতক্ষীরা, বেনাপোল, শার্শাসহ দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে আসা যৌন কর্মী আবার অনেকের গার্ল ফ্রেন্ডকে সাথে নিয়ে শার্শার উলাশী মিলনের নীলকুঠি পার্কে অবৈধ মেলামেশা করে চলে যাচ্ছে। এলাকার উঠতি বয়সের স্কুল, কলেজ গামী ছেলে মেয়েরা ও ঝুকে পড়ছে এ দেহ ব্যবসায়।

শনিবার নীলকুটি পার্কের গেটে বসে থাকা ভ্যান চালক বজলেয়ার রহমান বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা দেহব্যবসায়িরা উলশী বাস থেকে নেমে অনেক বোরখা পরে এখানে আসে। এক দুই ঘন্টা পরে এরা আবার চলে যায়। এখানে পার্কের ভিতর ছোট ছোট করে ঘর করা আছে সেখানে খরিদ্দার নিয়ে এরা প্রবেশ করে তারপর তাদের কাজ শেষে এরা চলে যায়।

পার্কের কর্মচারীদের সাথে আলাপ কালে তারা জানায়, আমরা যারা মেয়ে নিয়ে আসে তাদের নিকট থেকে ঘর ভাড়া ঘন্টায় ১ হাাজার টাকা নেই। আার যারা আমাদের মাধ্যমে মেয়ে নেয় তাদের নিকট থেকে আমরা মেয়ে ভেদে দেড় হাজার থেকে ২ হাজার টাকা নেই। পার্কের ভিতর দেখা যায় অনেক স্কুল কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ও ছেলেরা ঘরের আসায় লাইন দিয়ে বসে আছে।

পার্কের জনৈক কর্মচারী বলেন, এখানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা আছে। দেখেন না মেয়ে ছেলেরা লাইন দিয়ে বসে আছে আমরা তাদের ঘর দিতে পারছি না।

সারাদিন এ পার্কের ভিতর সকাল থেকে রাত অবধি চলে দেহ ব্যবসা। পার্কের মালিক মিলন হোসেনকে খোজাখুজি করে পাওয়া যায়নি। কর্মচারীরা বলেন, আপনাদের মিলন ভাইকে কি প্রয়োজন। আমরা এখানে সকল ধরনের ব্যবস্থা করে থাকি। এরপর মিলন আমাদের পরিচিত লোক বললে তারা ফোন দেয় কিন্তু মিলন ফোন রিসিভ করে নাই। কর্মচারীদের যখন সাংবাদিক পরিচয় দেই তখন তারা বলে আপনারা বসেন আমরা মিলন ভাইকে ডেকে আনছি। আর আপনারা বোঝেনতো পার্ক হচ্ছে একটি বিনোদনের জায়গা। এখানে কিছু এদিক সেদিক কাজ না হলে পার্ক চলবে কি করে।

বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর গ্রামের সেলিম হোসেন ও কবির হোসেন বলেন, শার্শার উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েরা এবয়সে খারাপ হয়ে যাচ্ছে একমাত্র এই পাকর্রে জন্য। এখানে পরিবার পরিজন নিয়ে বিনোদনের জন্য যাওয়ার কোন প্রশ্নই উঠে না। কারন এখানে গেলে যে দৃশ্য সামনের উপর দেখা যায় তাতে সাধরণ মানুষ সব কিছু উপলব্দি করতে পারে এখানে কি হয়।

এলাকার একটি সুত্র জানায়, একজন শীর্ষ রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় মিলন এসব অবৈধ কাজ কর্ম করে।
এ ব্যাপারে শার্শার বাগআঁচাড়া ফাড়ির ইনচার্জ হুমায়ুন কবির এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, উলাশির ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না। এটা শার্শা থানার ভিতর সেখানে কথা বলেন। শার্শার ওসি এম মশিউর রহমানকে ফোনে পাওয়া যায়নি।