উদ্ধার হল উল্টে যাওয়া গ্যাসবাহী ট্যাঙ্ক লরি

মোঃ শহিদুল ইসলাম, বাগেরহাট: দীর্ঘ ১৪ ঘন্টা পর উদ্ধার হল উল্টে যাওয়া এলপিজি গ্যাসবাহী ট্যাঙ্ক লরি। শনিবার (২জুন) সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট কাজ করে উল্টে যাওয়া ট্যাঙ্ক লরিটি উদ্ধার করে। এ উদ্ধার কাজে ৩টি ক্যারেন ও একটি র‌্যাকার ব্যবহার করে উদ্ধারকারী দল।
এক ঘন্টার উদ্ধার অভিযানে ঘটনাস্থল খুলনা-মোংলা মহাসড়কের সোনাতুনিয়ার দুই পাশে প্রায় ৩-৪ কিলোমিটার ধরে যানযটের সৃষ্টি হয়।

loryএদিকে দীর্ঘ ১৪ ঘন্টা পর কোন প্রকার ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া লরিটি উদ্ধার হওয়ায় এলাকা বাসী সস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। আতঙ্ক কেটে গেছে জনগনের।

এর আগে শনিবার (২ জুন) ভোর রাতে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের রামপালের সোনাতুনিয়া এলাকায় যমুনা এলপি গ্যাসের ট্যাঙ্ক লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। সাড়ে ১৭ টন যমুনা এলপিজি গ্যাস নিয়ে মোংলা প্লান্ট থেকে বগুরা প্লান্টে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পরে ট্যাঙ্ক লরিটি। লরির চালক করিম (৫০) ও চালকের সহযোগী শহিদ (২৫) আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শহিদকে খুলনা ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতদের বাড়ি বগুরায়।

দুর্ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস, জেলা প্রশাসন, কাটাখালি হাইওয়ে থানা ও রামপাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে সতর্ক অবস্থান নেয়। লরিটি উদ্ধারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করতে থাকে।

ফায়ার সার্ভিস লরির চারপাশ ঘিরে রাখে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ মাইকিংয়ের মাধ্যমে এলাকার জনগণকে সতর্ক করছে। দুর্ঘটনা এড়াতে এলাকার জনগণকে কোনো প্রকার আগুন জ্বালাতে নিষেধ করে। অবশেষে সাড়ে ৪টার দিকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, খুলনার উপ-পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, খবর শুনে খুলনা, বাগেরহাট ও মোংলা ইপিজেড এলাকার ৪টি ফায়ার ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছায়। উদ্ধার তৎপরতা শুরু করি। র‌্যাকার ও ক্যারেনের জন্য অনেক জায়গায় যোগাযোগ করি। শেষ পর্যন্ত ৪টার দিকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি ক্যারেন, ভারা করা দুই ক্যারেন এবং একটি র‌্যাকারের মাধ্যমে লরিটিকে উদ্ধার করি। লরিটিতে থাকা ট্যাঙ্কারটিকে যমুনা গ্যাস কর্তৃপক্ষ একটি ট্রাকে করে তাদের প্লান্টে নিয়ে গেছে।

কাটাখালী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে দুর্ঘটনা এড়াতে কাটাখালী হাইওয়ে থানা ও রামপাল থানা পুলিশেরপর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম।মাইকিং করে এলাকার সকলকে কোন প্রকার আগুন ব্যবহার করতে নিষেধ করেছিলাম। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রচেষ্টায় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কোন প্রকার দুর্ঘটনা ছাড়া ট্যাঙ্কারটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।