আশুলিয়ায় সার্জেন্ট আরিফ হত্যাকান্ড; মুঠোফোনে ডেকে আনা সুমন গ্রেপ্তার

bd army savarসাভার প্রতিনিধি: সাভারের আশুলিয়ার গাজীরচটে ছুরিঘাত করে সাবেক সেনা কর্মকর্তা আরিফ বিল্লা খুনের ঘটনায় আরও দুইজন গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪ এর একটি দল। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এই খুনের ঘটনায় সজীব নামে একজনকে আটক করেছিলো পুলিশ। এখন পযন্ত আরিফ বিল্লা খুনের ঘটনায় মোট ৩ জনকে আটক করা হলো।

শুক্রবার ভোরে রাতে আশুলিয়ায় কুরগাঁও থেকে সুমন ও ডেন্ডাবর থেকে তুষার নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৪ এর সিপিসি-২।

আটক সুমন ইসলাম মাদারীপুরের রাজব থানার ইবাদত দারীয়ার ছেলে। বর্তমানে পরিবারসহ আশুলিয়ার কুরগাঁও বসবাস করছিলো। অপরজন আটক হাসিবুল ইসলাম মল্লিক তুষার রাজশাহীর গোতাগাড়ির আবদুস সোবাহান মল্লিকের ছেলে। বর্তমানে আশুলিয়ার পূর্ব ডেন্ডাবরে পরিবারসহ বসবাস করে আসছিলো। আটক দুইজনই আশুলিয়ায় বালু ও পাথর সরবরাহের ব্যবসা করতো।

সিপিসি-২ এর অধিনায়ক মেজর আবদুল হাকিম জানান, সাবেক সেনা সার্জেন্ট আরিফ বিল্লার হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, গ্রেপ্তার সুমন ঘটনার রাতে সার্জেন্ট আরিফ বিল্লাকে ফোন দিয়ে ময়নসিংহ থেকে বালুর ট্রাক আসার খবর জানায়। তবে সেই মুহুর্তে সুমনের মোবাইলের লোকেশন আশুলিয়ার কুরগাঁও ছিলো। অন্যদিকে আটক তুষারের সঙ্গে বিভিন্ন নির্মাধীন ভবনে বালু সরবরাহ নিয়ে দন্ধ চলছিলো। এইসব বিষয় মাথায় রেখে সন্দেহ জনক তালিকা রেখে সুমন ও তুষারকে আটক করা হয়েছে। এ খুনের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এছাড়া নির্মানাধীন ভবনের মালামাল সরবরাহের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকান্ড ঘটে থাকতে পারে। তবে তদন্ত শেষে ও বাকী অাসামীদের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধিতে বিষয় নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান মেজর আবদুল হাকিম।

উল্লেখ্য, গত শনিবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার ঢাকা সামরিক হাসপাতালে মারা যান সাবেক সেনা কর্মকর্তা আরিফ বিল্লা। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী বিউটি আক্তার জুঁই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।