‘সুদ এক অঙ্কে আনতেই ব্যাংক খাতে সুবিধা’

mostofa kamalডেস্ক রিপোর্ট: ঋণের সুদ এক অঙ্কে আনার জন্যই ব্যাংক খাতকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কথা বলেন।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘ব্যাংক খাত নিয়ে এখানে একটি কথা এসেছে। আমাকে সিঙ্গেল ডিজিটে ইন্টারেস্ট আনতে হবে। যদি সিঙ্গেল ডিজিটে ইন্টারেস্ট আনতে না পারি তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্য চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের। সুতরাং ব্যবসায়ীরা যদি সফল হয়, তাদের হাত ধরেই দেশের উন্নয়ন হয়। উন্নয়নের হাত ধরেই আমাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যায়, উন্নয়নের হাত ধরেই আয় বৈষম্য কমে। উন্নয়নের হাত ধরেই কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।’

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ স্লোগান সংবলিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য বাজেট উত্থাপন করেন। মোট চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট পেশ করা হয়েছে।

বাজেটে ব্যাংকের করপোরেট কর আড়াই শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ব্যাংকের পাশাপাশি বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করও একই হারে কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে আজকের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এ বক্তব্য তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বাজেটে তৈলের মাথায় তৈল দিয়েছেন, অর্থাৎ ব্যাংক মালিকদের বাজেটে সুবিধা দিয়েছেন এবং ছোট ফ্ল্যাট কিনতে কর বাড়িয়ে গরিব বা মধ্যবিত্তের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যে প্রশ্ন করছেন, তা মিনিংলেস। আপনাদের কোনো ধারণাই নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, দেশে দারিদ্র্য বাড়ছে না কমছে? দেশে একসময় ৭০ ভাগ দারিদ্র্য ছিল, কিছুদিন আগে ছিল ৩৭ ভাগ, এখন মাত্র ২২ ভাগ দরিদ্র। এ ছাড়া ১১ ভাগ হতদরিদ্র। দেশ এখন উন্নত হয়েছে।’

বাজেট নিয়ে কিছু পত্র-পত্রিকা আপত্তিকর সংবাদ প্রকাশ করেছে উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটি তারা কীভাবে বলতে পারে, এটি তাদের অজ্ঞতা। তাদের দেশপ্রম নেই, বাজেট বিষয়ে তাদের কোনো ধারণাই নেই।’

একপর্যায়ে অর্থমন্ত্রী বক্তব্য বন্ধ করে দেন। পরে পাশে বসা তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু কথা বলেন।

জাসদের একাংশের সভাপতি বলেন, ‘আমাদের নারী ও শিশুর মৃত্যুর হার কমেছে। কৃষি খাতে ভুর্তকি দেওয়ায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এটি কিন্তু সহজ বিষয় নয়।’