নীরব প্রচারণায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা

bnp logoডেস্ক রিপোর্ট: আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশে নীরব প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এ প্রচারের মধ্যদিয়ে তারা জোরদার করার চেষ্টা করছে দলের কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দি থাকায় দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে নেই স্বাভাবিক ঈদ আনন্দ। তবুও গণতান্ত্রিক রাজনীতির স্বার্থে রমজান মাসজুড়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দফায় দফায় ছুটে গেছেন নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায়। ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে তারা ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন গণসংযোগে। ঈদ শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এলাকায় এলাকায় সাঁটিয়েছেন পোস্টার ও ব্যানার।

নির্বাচনের বছর হওয়ায় এবারের ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে তারা মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন জনগণের কাছে পৌঁছানোর। রমজান মাসের শুরু থেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারা নিজ নিজ এলাকার দরিদ্র লোকজনের মাঝে শাড়ি-পাঞ্জাবি ও ইফতার সামগ্রী বিলানোর পাশাপাশি বাড়িয়ে দিচ্ছেন আর্থিক সহযোগিতার হাত।

বিশেষ করে আন্দোলন-সংগ্রামকে কেন্দ্র করে গুম-খুনের শিকার নেতাকর্মীদের পরিবারের কাছে উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলের নেতা এবং মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও নিচ্ছেন গুম-খুন নেতাকর্মীদের পরিবার এবং পঙ্গু ও কারাবন্দি নেতাকর্মীদের খোঁজখবর। অনেক নেতাই ঈদ পুনর্মিলনী ও মেজবানের আয়োজন রেখেছেন। তবে প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে নানা এলাকায় বিএনপি নেতাদের ইফতার মাহফিল পণ্ড হয়েছে পুলিশি বাধায়। রাজনৈতিক কর্মসূচির মতো ইফতার মাহফিল আয়োজনেও পুলিশের অনুমতি নিতে হয়েছে বিএনপি নেতাদের। সবমিলিয়ে বিএনপি নেতারা ?সারা দেশে নীরব প্রচারণায় জমিয়ে তুলেছেন ঈদ রাজনীতি। জাতীয় নির্বাচনের ছয় মাস বাকি থাকলেও বিএনপি কর্মী-সমর্থকসহ গ্রাম-গঞ্জের মানুষ এবার ঈদ উদ্‌?যাপন করবে নির্বাচনী আমেজে। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বলছেন, তারা একদিকে যেমন দলীয় টিকিট পেতে প্রচারণা চালাচ্ছেন, অন্যদিকে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জনমত সৃষ্টি করছেন তৃণমূলে। প্রস্তুতি নিচ্ছে আন্দোলনের। সংগঠিত করতেন দলের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের।

শুভাকাঙক্ষীসহ ক্ষমতাসীন জোটের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের মন জয় করে সম্পর্ক দৃঢ় করতে কাজ করছেন। এদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বেশিরভাগই প্রতি বছর রাজধানীতে ঈদের নামাজ পড়ে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ঈদ শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। কিন্তু খালেদা জিয়া কারাবন্দি থাকায় নেতাদের বেশিরভাগই এ বছর ঈদের নামাজ পড়বেন নিজ নিজ এলাকায়। অন্যদিকে আগামী জাতীয় নির্বাচন ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সম্ভাব্য আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাংগঠনিক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি।

বিগত বছরগুলোতে বারবার সাংগঠনিক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয়া হলেও নানা কারণে সেটা সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কড়া নির্দেশনাসহ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে এ পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণসহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের বেশকিছু জেলা কমিটির নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির নেতৃত্ব বাছাই নিয়ে নানা ধরনের ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকলেও দীর্ঘদিনের অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে এ উদ্যোগটি জোরালোভাবে বাস্তবায়নে চাঙ্গা ভাব তৈরি হয়েছে বিএনপিসহ অঙ্গদলগুলোর সকল পর্যায়ে। সার্বিকভাবে জাতীয় রাজনীতিতেও ঢেউ তুলছে বিএনপির এ সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া। অন্যদিকে এখন হাট-বাজার, হোটেল-রেস্তারা, বাড়িঘর-সর্বত্র একই আলোচনা- আগামী নির্বাচন। কেমন হবে নির্বাচন? সবার মনে একটি প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে- বিএনপি কি এবার নির্বাচনে অংশ নেবে? বিএনপিকে সে নির্বাচনে দলের চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে যেতে পারবেন নাকি সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাকে ছাড়াই যেতে হবে। তবে সমপ্রতি ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির থিংক ট্যাংক ও কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। বিএনপি নেতাদের ভারত সফর ও বৈঠকের পর জাতীয় রাজনীতিতে বইতে শুরু করেছে নতুন হাওয়া।

রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে সরকারি মহলের হামলা-মামলা এড়িয়ে বিএনপি নেতাদের ঈদ রাজনীতি ও নির্বাচনী প্রস্তুতি সারতে হচ্ছে অনেকটা গোপনে ও কৌশলে। সিনিয়র নেতারা যেমন অনেক বেশি এলাকামুখী হচ্ছেন তেমনি অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতারা এলাকার মানুষের মন জয়ের চেষ্টার পাশাপাশি লবিং-তদবির দ্বারা ব্যস্ত রয়েছেন দলীয় নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণে। তৃণমূল নেতারা বলছেন, রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপিই। দীর্ঘ একযুগ ক্ষমতার বাইরে এবং অব্যাহত নির্যাতনের মধ্যে থাকলেও বিএনপিকে জনসমর্থনের দিক থেকে কোণঠাসা করতে পারেনি সরকার। ফলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করতে পারে এমন বিবেচনা থেকে এলাকায় তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও বিএনপি নেতারা তাই আসন্ন ঈদুল ফিতরকে বেছে নিয়েছেন আগামী নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্র হিসেবে। এদিকে জীবনে প্রথমবারের মতো কারাগারে ঈদ উদযাপন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এছাড়া বিএনপিসহ অঙ্গদলের হাজারো নেতাকর্মীরা দেশের নানা কারাগারে বন্দি রয়েছেন এবং সেখানেই তারা ঈদ করবেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁও সদর; স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ; ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুমিল্লার দাউদকান্দি, হোমনা, মেঘনা ও তিতাস; লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান দিনাজপুরের বিরল; মির্জা আব্বাস ঢাকার রমনা-শাহজাহানপুর-সবুজবাগ, খিলগাঁও; গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকার কেরানীগঞ্জ, ড. আবদুল মঈন খান নরসিংদীর পলাশ ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম মহানগরের নিজ নির্বাচনী আসনে একাধিকবার ইফতার মাহফিল করেছেন। একইভাবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান চট্টগ্রাম মহানগর; এম মোরশেদ খান চট্টগ্রামের চাঁন্দগাঁও-বোয়ালখালী; ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সিরাজগঞ্জ সদর; মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ভোলা; চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ফরিদপুর সদর; মোহাম্মদ শাহজাহান নোয়াখালী সদর; আহমেদ আজম খান টাঙ্গাইলের সখীপুর; শওকত মাহমুদ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া; চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু রাজশাহী মহানগর, আমান উল্লাহ আমান ঢাকার কেরানীগঞ্জ, মশিউর রহমান ঝিনাইদহ সদর, মনিরুল হক চৌধুরী কুমিল্লার সদর দক্ষিণ; তাহসিনা রুশদীর লুনা সিলেটের বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ; তৈমূর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ মহানগর; আফরোজা খান রিতা মানিকগঞ্জ; যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন নোয়াখালীর চাটখিল; খায়রুল কবির খোকন নরসিংদী সদর; সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন গাজীপুর মহানগর ও কালিগঞ্জ; নজরুল ইসলাম মঞ্জু খুলনা মহানগর; রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু নাটোর সদর; সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট; শামা ওবায়দ ফরিদপুরের নগরকান্দায় ইফতার মাহফিল ও দরিদ্রদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ঈদের পরদিন অন্তত ১০ হাজার মানুষকে পরোটা, ঝাল মাংস ও জর্দা ভাত দিয়ে আপ্যায়ন করবেন। মহানগর বিএনপি সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন টানা দুদিন মেজবান দিয়ে আপ্যায়ন করবেন এলাকাবাসী ও মহানগরের নেতাকর্মীদের। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ে যাবেন গ্রামের বাড়ি রাউজানে। বিকেলে ফিরে নগরীর ভিআইপি টাওয়ার এলাকার বাসায় অবস্থান করে নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি সেমাই-মিষ্টি, ফিরনি ও মাংস-পরোটা খাওয়াবেন। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নির্বাচনী বছরে ঈদ হওয়ায় সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন- এটাই স্বাভাবিক। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে রাখায় এবার একটি নিরানন্দ ঈদ উদযাপন করবেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। একই সঙ্গে আমাদের দলের গুম, খুন ও মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ নেতাকর্মীদের জন্য কষ্ট নিয়েই ঈদ করতে হবে। আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ঈদ মানুষের খুশির একটি বিষয়। কিন্তু দেশের বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে মানুষের মনে ঈদের আনন্দ নেই। রাজশাহী সিটির মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, আমরা তো বর্তমান সরকারের দয়ার ওপরে বেঁচে আছি। ঈদের দিন বেঁচে থাকলে ঈদগাহে নামাজ পড়বো।

দলের তরুণ নেতাদের মধ্যে- ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় ধানমন্ডি বিএনপির সভাপতি শেখ রবিউল আলম রবি কৌশলে ইফতার ও গণসংযোগে অংশ নিচ্ছে ১৮৫টি মামলা মাথায় নিয়ে। মামলার কারণে কাফরুল এলাকায় যেতে না পারলেও বিভিন্ন কৌশলে ইফতারের আয়োজন করছেন যুবদলে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান। জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক এখন বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক। পল্লবী-রূপনগর এলাকায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এ নেতা জানান, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় নেতাকর্মীদের মাঝে ঈদের আনন্দ নেই। তাই কর্মীদের সঙ্গে সাদামাটা ঈদ উদযাপন করবেন তিনি। রমজান মাসজুড়ে একাধিক ইফতার মাহফিলসহ দলের নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন গুলশান-বনানী আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী তরুণ নেতা ব্যবসায়ী কামাল জামান মোল্লা। তিনি জানান, এতদিন নেপথ্যে থেকে রাজনীতি করেছি, এবার আর রাখ-ঢাক করছি না। দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করার চেষ্টা করছি। ঢাকা-১৮ (উত্তরা-খিলক্ষেত) আসনে ঈদ রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর। এ আসনে বছরের পর বছর ধরে সুখে-দুঃখে তৃণমূল নেতাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন ব্যবসায়ী নেতা বাহাউদ্দিন সাদী। ঈদ রাজনীতিতেও পুরোমাত্রায় সক্রিয় তিনি। সাদী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দি। এই মুহূর্তে দলের একজন কর্মী হিসেবে ঈদের আনন্দ না থাকলেও সাধারণ জনগণ আর নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য চেষ্টা করছি। রাজধানীর ঢাকা-৪ আসনের এলাকায় কদমতলী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিন; ঢাকা-১৯ আসনে জেলা বিএনপি সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু; শ্রমিক অধ্যুষিত খুলনা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রকিবুল ইসলাম বকুল; চট্টগ্রামের পটিয়ায় দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও কয়েক মাস নিখোঁজ থাকার পর ফিরে আসা সৈয়দ সাদাত আহমেদ; নেত্রকোনা-৫ আসনে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ ইমরান, নেত্রকোনা-২ আসনে ডা. আনোয়ার হোসেন; বাগেরহাট-৩ রামপাল ও মংলা আসনে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ড. ফরিদুল ইসলাম, যশোর-৪ অভয়নগর-বাঘারপাড়া আসনে বাঘারপাড়া বিএনপির সভাপতি টিএস আইয়ুব, সাতক্ষীরা-৪ আসনে সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিন; লক্ষ্মীপুর-৪ রামগতি-কমলনগরে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু; নরসিংদী-৪ মনোহরদি-বেলাবোতে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল; লক্ষ্মীপুর-১ রামগঞ্জ আসনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলী; কিশোরগঞ্জ-৫ বাজিতপুর-নিকলীতে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল আলম রাজন ও ছাত্রদলের বর্তমান কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ নাসির; বরিশাল-১ আসনে দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান; চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনে ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ হান্নান, জামালপুর-৩ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, কুষ্টিয়া-২ ভেড়ামারা ও মিরপুর আসনে সাবেক ক্রীড়াবিদ রুলুসহ বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সারা দেশে অন্তত কয়েকশ বিএনপি ও যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ইফতার মাহফিল ও দরিদ্রদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণসহ নানা উদ্যোগ নিয়ে ঈদ রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ হান্নান বলেন, আমি সবসময়ই আমার এলাকার লোকজনের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। আমার কাছে এলাকার জনসাধারণের চেয়ে আপন আর কেউ নেই। এদিকে সিলেট বিভাগের সিলেট মহানগর ও জেলায় আবদুল মুক্তাদির চৌধুরী, শফি আহমদ চৌধুরী, আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, আলী আহমেদ, দিলদার হোসেন সেলিম, আবুল কাহের শামীম, এমরান আহমেদ চৌধুরী, ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী; সুনামগঞ্জে নাছির উদ্দিন চৌধুরী, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন; হবিগঞ্জে শেখ সুজাত মিয়া, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জি কে গউস, জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সল ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি ও স্থানীয় সরকারবিষয়ক সহ-সম্পাদক শাম্মী আক্তার; মৌলভীবাজারে সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবাদুর রহমান চৌধুরী, সাবেক এমপি এমএম শাহিন, জেলা বিএনপির সভাপতি নাসের রহমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী খালেদা রাব্বানী, হাজি মুজিবুর রহমান চৌধুরীসহ অন্তত শতাধিক কেন্দ্রীয়, জেলা নেতা ও মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ঈদ রাজনীতির মাধ্যমে চালিয়েছেন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের নীরব প্রচারণা। সূত্র: মানবজমিন