ছাত্রদের ওপর জুলুম-নির্যাতন মেনে নেয়া যায় না: এরশাদ

hm ershadঢাকা: চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর যে জুলুম-নির্যাতন চলছে তা মেনে নেয়া যায় না। এমন মন্তব্য করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন শুধু ছাত্র নয়, হামলা ও গ্রেফতার করা হচ্ছে অভিভাবকদের ওপরও। মতপ্রকাশের অধিকার সবারই আছে, দাবি আদায়ের জন্য কথা বলার অধিকার সবারই আছে। কোনো নাগরিক অধিকারের দাবি তুলতে পারবে না, এটা হতে পারে না।

বুধবার সকালে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব মেজর (অব.) আশরাফ উদ দৌলা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।

এ সময় বক্তৃতা করেন পার্টির মহাসচির এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, সুনিল শুভ রায়, মেজর (অব.) খালেদ আকতার, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, মোস্তাফিজুর রহমান এমপি, রৌমারী উপজেলার জাতীয় পার্টির সভাপতি কামরুল আলম বাদল, সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন লিপন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দুঃখ প্রকাশ করে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, শিক্ষকরা রাস্তায় শুয়ে আমরণ অনশন করেছ। তাদের সঙ্গে কেউ কথা বলার প্রয়োজন বোধ করছে না। অথচ শিক্ষকরাই জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

তিনি বলেন, মাদক ও চোরাকারবারি এখন সংসদেই আছে। মাদকের ছোবলে দেশের সংস্কৃতি ও সমাজব্যবস্থা ধংস হয়ে যাচ্ছে।

রাজনীতির অবক্ষয়ে হতাশা প্রকাশ করে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, সাধারণ মানুষ এখন রাজনীতিবিদদের ঘৃণা করে। আমরা ক্ষমতায় গিয়ে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনব।

আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, বিএনপি নির্বাচনে এল কি এল না, তাতে কিছু এসে যায় না। বিএনপি নির্বাচনে এলে একধরনের প্রস্তুতি আর নির্বাচনে না এলে অন্য কৌশলে নির্বাচন করবে জাতীয় পার্টি।

আমরা নির্বাচন করব, জাতীয় পার্টি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। ৩০০ আসনেই আমাদের প্রস্তুতি আছে, আমরা নির্বাচনে জয়ের স্বপ্ন দেখছি। ক্ষমতায় থাকাটাই বড় কথা নয়, মানুষের ভালোবাসা অর্জনই রাজনীতির মূল লক্ষ্য।

এ সময় বক্তৃতায় মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অশনিসংকেত আছে। এ অবস্থায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা জাতীয় পার্টিতে যোগদান করছে, এটা অবশ্যই আমাদেও জন্য ইতিবাচক। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে তাই আগামী নির্বাচনে সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টিকেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, জহিরুল ইসলাম জহির, নুরুল ইসলাম নুরু, হেনা খান। যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, জহিরুল আলম রুবেল, মোবারক হোসেন আজাদ, আমিনুল ইসলাম ঝন্টু, জসিম উদ্দিন ভুইয়া, মো. হেলাল উদ্দিন, সুলতান মাহমুদ, এমএ রাজ্জাক খান, কাজী আবুল খায়ের, সুমন আশরাফ, হাফেজ ক্বারী ইসারুহুল্লাহ্ আসিফ, জাকির হোসেন মিলন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাব্বির আহমেদ, জয়নাল আবেদিন, মিজানুর রহমান দুলাল, সফিকুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার, সৈয়দ ইফতেখার আহসান হাসান, মিজানুর রহমান মিরু।