পুলিশ বলছে, নিহত নোমান শহরের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মাদকসহ ১৪টিরও বেশি মামলা রয়েছে। এছাড়াও তিনি পুলিশের কাছ থেকে পলাতক এবং ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে দুটি চাপতি, একটি চাইনিজ ছুরি ও ৪৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত নোমান নগরীর সেনবাড়ী এলাকার মঞ্জুরুল হক খানের ছেলে।
কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আহসান উল্লাহ খান নোমান সদর উপজেলার চরনিলক্ষীয়া ইউনিয়নের রঘুরামপুর এলাকায় অবস্থান করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই স্থানে পুলিশের একটি দল পৌঁছালে নোমানের লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল নিক্ষেপসহ এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে।
একপর্যায়ে উভয়ের পক্ষের গোলাগুলির মাঝে পরে নোমান গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই ) তানজিল, কনস্টেবল ইলিয়াস ও সামিউল আহত হয়েছেন। তাদের জেলা পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।