ঈদের দেড় মাস আগেই মসলার দাম চড়া

ডেস্ক রিপোর্ট : কোরবানির ঈদের প্রায় দেড় মাস বাকি। ঈদ আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবছর বেড়ে যায় মসলাজাতীয় পণ্যের চাহিদা। অতিরিক্ত চাহিদাকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে বাড়ে মসলার দামও।

তবে এ বছর কোরবানির ঈদ আসার দেড় মাস আগ থেকেই মসলার দাম বাড়াচ্ছে ব্যবসায়ীরা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন বাজারে মসলার চাহিদা কিছুটা কম থাকলেও সামনে ঈদুল আজহার সময় কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। তাই এখন থেকেই বাজার তদারকি না করলে ঈদের আগমুহূর্তে প্রতিবছরের মতো মসলার বাজার লাগামহীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সরকার সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ এখন থেকেই নেয়া উচিত।

মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট ও রামপুরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে।

রোজার ঈদের সময় কেজিপ্রতি মানভেদে এলাচের দাম ছিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা, বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯২০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায়।

দারুচিনির দাম ছিল প্রতি কেজি ২৬৮ টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা। জয়ফল ছিল ৫৫০ টাকা, বর্তমানে ৬০০-৬৫০ টাকা। এ ছাড়া ভারত থেকে আমদানি করা জিরা প্রতি কেজির দাম ছিল ২৮৩-৩০০ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৩৫ টাকা। সিরিয়া থেকে আমদানি করা জিরার দাম ছিল ৩৯০ টাকা, বর্তমানে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া চীন থেকে আমদানি করা জিরা বিক্রি হচ্ছে ৩৯৫ টাকা। আর ১১০ টাকা কেজির মিষ্টি জিরা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা।
এ ছাড়া কেজিপ্রতি লবঙ্গ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ৯৫০, সাদা গোলমরিচ এক হাজার ২০০ টাকা, জয়ত্রী ২ হাজার ১০০ টাকা, ধনিয়া ১০০-১২০ টাকা, ভারতীয় হলুদ ২১৫ টাকা, ভারতীয় মরিচ ১৫০ টাকা, দেশি শুকনা মরিচ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের মসলা বিক্রেতা সোহাগ বলেন, কোরবানির ঈদ আসতে আরও দেড় মাস বাকি, আর এখন মসলার চাহিদা না থাকলেও আমদানিকারকরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি দাম বাড়ছে চাহিদাসম্পন্ন মসলার।

এদিকে কারওয়ান বাজারের উপহার স্টোরের পাইকারি মসলা বিক্রেতা মো. চুন্নু মিয়া বলেন, মসলার বাজার পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। আমদানি কম হলে বাজারে সরবরাহ কম থাকে।

এতে কিছুটা দাম বেড়ে যায়। তবে কোরবানির ঈদ এলেই আমদানিকারকরা সিন্ডিকেট করে মসলার দাম বাড়িয়ে দেয়। তারা দাম বাড়ালে আমাদের মতো পাইকারদেরও বাড়তি দামে কিনতে হয়। যার প্রভাব খুচরা বাজারেও এসে পড়ে।

মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী এনায়েত উল্লাহ জানান, স্বাভাবিকভাবে বন্দরের পণ্যবাহী জাহাজ থেকে পণ্য ছাড় করতে সময় লাগছে। এর মধ্যে যোগ হয়েছে ঢাকা থেকে আমদানিকারকদের অনুমতিপত্র জোগাড়ের বিষয়টি। এতে আমদানি খরচ বাড়ছে। যা সরাসরি পণ্যের দামের ওপর গিয়ে পড়ছে।