শিশু রাইফার মৃত্যু : তদন্ত শুরু করেছে বিএমডিসি

চট্টগ্রাম : ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় শিশু রাফিদা খান রাইফা মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে চার সদস্যের টিমটি তদন্তকাজ শুরু করেছে।

নগরীর চকবাজার থানার মেহেদীবাগের এলাকায় অবস্থিত ম্যাক্স হাসপাতালের ১০ তলায় চেয়ারম্যান ডা. শিব শংকর সাহা, মহাব্যবস্থাপক রঞ্জন প্রসাদগুপ্ত, ডা. বিধান রায় চৌধুরী, ডা. দেবাশীষ সেনগুপ্ত, ডা. শুভ্রদেব ও রাইফার চিকিৎসাকালীন কর্তব্যরত নার্স, ওয়ার্ডবয় ও আয়ার সঙ্গে কথা বলছেন কমিটির সদস্যরা।

বিএমডিসির রেজিস্ট্রার সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটির সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শিশু রাইফা খানের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত যাবতীয় রেকর্ড খতিয়ে দেখবেন।

এর আগে বিএমডিসির রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে শিশু রাইফার বাবা সাংবাদিক রুবেল খান, রাইফার মা এবং সংশ্লিষ্টদের উপস্থিত থাকার জন্য জানানো হয়।

গলাব্যথা নিয়ে গত ২৮ জুন বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর মেহেদীবাগের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি হওয়া দৈনিক সমকালের সিনিয়র রিপোর্টার রুবেল খানের আড়াই বছর বয়সী শিশুকন্যা রাইফা পর দিন শুক্রবার রাতে মারা যায়।

অভিযোগ ওঠে- কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।

পরে ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে একটি কমিটি করে দেয়া হয়। পাশাপাশি চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটিও এ ঘটনার তদন্ত করে।

শিশু রাইফার মৃত্যুতে চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ৭ জুলাই ডা. দেবাশীষ সেনগুপ্ত ও ডা. শুভ্রদেবকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

এ ছাড়া সরেজমিন পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিদর্শন দল ম্যাক্স হাসপাতালের ১১টি অনিয়ম চিহ্নিত করেছে।

গত ৮ জুলাই স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম শিশু রাইফার মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিএমডিসিকে নির্দেশ দেন। এর পর রাইফার মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)।

এ ছাড়া ম্যাক্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. লিয়াকত আলীসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানায় মামলা করেছেন শিশুটির বাবা সাংবাদিক রুবেল খান।

এতে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. লিয়াকত আলী, শিশুবিশেষজ্ঞ ডা. বিধান রায় চৌধুরী, কর্তব্যরত ডা. দেবাশীষ সেনগুপ্ত ও ডা. শুভ্রদেবকে আসামি করা হয়।