মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

Mahmudur rahmanসুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতার দায়ের করা একটি মানহানি মামলার হাজিরা না দেয়ায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বিকালে সুনামগঞ্জ সদর জোনের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. দেলোয়ার হোসেন এই আদেশ দেন।

মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী মো. আবদুল হক জানান, ‘মাহমুদুর রহমান একই প্রকৃতির একটি মামলায় কুষ্টিয়ার আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে সেখানে গত ২২ জুলাই দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হন। তিনি বর্তমানে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি আছেন।’

তিনি জানান, আমরা আদালতে তার চিকিৎসা-সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজ উপস্থাপন করে অ্যাডভোকেট হাজিরা নিয়ে বিষয়টি মুলতবি রাখার আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আদালত আমাদের আবেদন নামঞ্জুর করে মাহমুদুর রহমানে বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মানহানির অভিযোগে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলাটি করেন জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হক কিরণ। পুলিশ অভিযোগ তদন্ত শেষে আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করে।

পরে আদালত দণ্ডবিধির ৫০০ ও ৫০১ ধারার অপরাধ আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার মামলার ধার্য তারিখ ছিল। কিন্তু মাহমুদুর রহমান হাজির হননি। তাই তার বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারির আদেশ দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল আয়োজিত আলোচনাসভায় আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বঙ্গবন্ধু তার কন্যা শেখ হাসিনা ও নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকীকে নিয়ে কটূক্তিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ উঠে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষার গত বছরের ১০ ডিসেম্বর আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মানহানি মামলা করেন।

ওই মামলায় রোববার আমার দেশ সম্পাদক আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করে স্থায়ী জামিনের আদেশ দেন।

এ মামলায় গত ২২ জুলাই রোববার জামিন নিতে গিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে হামলার শিকার হন আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। হামলায় তার মাথা ও মুখ জখম হয়। এ ছাড়া তাকে বহনকারী গাড়িটি ভেঙে দেয় হামলাকারীরা।

পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আদালত চত্বর ছাড়েন মাহমুদুর রহমান। এরপর উড়োজাহাজে করে ঢাকায় এসে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।