চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ

cu newsচট্টগ্রাম: পূর্ব-শত্রুতার জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন।

গুরুতর অবস্থায় ৩ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) পাঠানো হয়েছে। বাকিদের চবি মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শাহ আমানত ও এ এফ রহমান হলে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। বিবাদমান দুটি পক্ষ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী ‘বিজয়’ ও ‘সিএফসি’ গ্রুপ।

আহতরা হলেন- বিজয় গ্রুপের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আজিজুল হক মামুন, আরবি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের জোবায়ের আহমেদ, রাজনীতি বিজ্ঞান ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের সাইমুন ইসলাম ও ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ইমাম।

সিএফসির ইতিহাস বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের আপন ইসলাম মেঘ, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের সাহাদাত হোসেন প্রদীপ, আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের হাবিব ও স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের রিংকু দাশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পূর্ব-শত্রুতার জেরে চাকসুর সামনে সিএফসি গ্রুপের কর্মী রিংকু দাশকে বিজয় গ্রুপের কর্মীরা চড়-থাপ্পড় মারে। এর সূত্র ধরে এএফ রহমান হলে বিজয় গ্রুপের কর্মীদের ওপর চড়াও হয় সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এছাড়া হলের দোতলার ৩টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনার রেশ ধরে শাহ আমানত হলেও সংঘর্ষ হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। বর্তমানে ক্যম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এ বিষয়ে বিজয় গ্রুপের নেতা ও সাবেক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, জুনিয়রদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়ছে। আমরা সিনিয়ররা বসে মীমাংসা করে ফেলব। একই সুরে কথা বলেন সিএফসি গ্রুপের নেতা ও চবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নাসির উদ্দীন সুমন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, চাকসুর সামনে থেকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে দুইটি হল তা ছড়িয়ে পড়ে। আমরা পরে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।

হাটহাজারি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দীন জাহাংগীর বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা প্রস্তুত।