রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় ধানমণ্ডি থানায় মামলা দুটি করা হয়।
গত শনিবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিসে হামলা, ভাঙচুর, দলীয় নেতাকর্মীদের আহত করা এবং পরদিন রোববার দ্বিতীয় দফা হামলার অভিযোগ আনা হয় মামলা দুটিতে।
দলের উপদপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দুটি করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম ও কেন্দ্রীয় সদস্য রেমন্ড আরেং।
বিপ্লব বড়ুয়া জানান, ৪ ও ৫ জুলাই দলের কার্যালয়ে হামলা এবং নেতাকর্মীদের আহত করার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। তবে মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। থানায় হামলাকারীদের ভিডিও ও ছবি জমা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে করা একটি মামলায় আটক ১৪জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- জোবায়ের হোসেন (২৬), মো. মোহন (১৮), মো, সাদ্দাম হোসেন (২৫), মিনহাজুল ইসলাম (২০), সোহেল খান (২৪), মাসরিকুল আলম (২৪), বর্ণালী চৌধুরী লোপা (৩০), তমাল সামাদ (২৪), ওমর সিয়াম (২০), মো. মাহমুদুর রহমান (১৯), গাজী ইমান বুখারী সিফাত (২০), মো. নাঈমুর রহমান (২০), মো. মাহবুবুর নাঈম (২২) ও মো. ইকবাল হোসেন (২১)।
তাদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদন পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম ফাহাদ বিন আমিন চৌধুরী তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল লতিফ বলেন, আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডির নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় সোমবার থানায় দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। স্থানীয় সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ গণমাধ্যমে আসা ঘটনার সময়ের ছবি দেখে আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গত শনিবার আগস্ট বিকেলে জিগাতলা ও ধানমণ্ডিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে কয়েকজন আহত হন। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় ধানমণ্ডি থানায় করা মামলায় ওই ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।