খাজুরা বাজারে ব্যবাসায়ীদের মানববন্ধন

২০০ বছরের পুরাতন যশোরের ঐহিত্যবাহী খাজুরা বাজার জায়গার অভাবে অস্তিত্ব সংকটে। হাটের জায়গা দখল করে দখলদাররা গড়ে তুলেছে মার্কেট, দোকান ও ঘরবাড়ি। পুরাতন বাজারের ঐহিত্য ও জৌলুস রক্ষার্থে বাজার হাট পেরিফেরীর জায়গা, ইউনিয়ন কৃষি অফিস এবং হাট পেরিফেরীর প্রাণকেন্দ্র পাইকারী কাঁচা বাজার, মাংস পট্টি, বীজ বাজার দখলের প্রতিবাদে হাট ইজারাদার, বিভিন্ন শ্রেনীর ব্যবাসায়ীসহ এলাকার সাধারণ জনগণ মানববন্ধন করেছে।

মঙ্গলবার বিকালে খাজুরা তেলপাম্প সংলগ্ন যশোর-মাগুরা মহাসড়কের ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে উক্ত জায়গায় মার্কেট নির্মাণকারী মরহুম আলতাফ হোসেনের ওয়ারিশগণের দাবী এটা তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। দীর্ঘদিন আদালতে মামলা চালিয়ে অবশেষে উচ্চ আদালতের দেওয়া রায় অনুযায়ী তারা জমির দখল নিয়ে মার্কেট নির্মাণ করছে।

মানবন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, যদি তারা আইন মোতাবেক জমির মালিক হয় তাহলে সরকারের নির্মিত সাত রুম বিশিষ্ট একতলা বিল্ডিং কিভাবে তারা ভেঙ্গে ফেলে। জন্ম থেকে দেখে আসছি এখানে ইউনিয়ন কৃষি অফিস রয়েছে। ১৯৮৮ সালের রেকর্ডে ইউনিয়ন কৃষি অফিসের নামে। অথচ সরকারের সাথে মামলা চলায় সঠিক তদারকি না হওয়ায় এবং সরকারের বিভিন্ন দফতরের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ পোপন চুক্তির ভিত্তিতে দায় এড়িয়ে গেছে।

এছাড়া হাটের ইজারাদারগণ বলেন, সরকার প্রায় অর্ধ কোটি টাকায় আমাদের কাছে ইজারা দিয়েছে। হাটের অর্ধেক জায়গা যদি দখল হয়ে তাহলে আমরা মারাত্বকভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবো। সেই সাথে ২০০ বছরের পুরাতন এই বাজার তার জৌলুস হারাবে।

বন্দবিলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ ডাকু বলেন, কেউ যথাযথ আইনের মাধ্যমে যদি তাদের পৈতৃক সম্পত্তি ফিরে পায় তাহলে খাজুরাবাসীর কোন দাবী নেই। কিন্তু এই বিচারে যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অজান্তে কোন দুর্নীতি হয়ে থাকে তার সঠিক তদন্ত করে এবং এই জমির সকল দলিলপত্র যাচাই বাছাই করার জন্য অত্র জমি সংক্রান্ত মামলা পুনরায় চালু করার জোর দাবী জানান।