বন্দরের সমস্যা সমাধানের লক্ষে বেনাপোলে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ সভা অনুষ্ঠিত

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যকে গতিশীল ও উভয় বন্দরে বিদ্যমান সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের লক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশন মিলনায়তনে দু’দেশের ব্যবসায়ী ও প্রশাসনিক উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন।

বন্দরে ভারতীয় ট্রাক বোঝাই পণ্যের নিরাপত্তা, বন্দরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, পণ্য চুরি রোধ, বন্দর থেকে পণ্য দ্রুত খালাশ করার দাবি করে ভারতীয়দের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, অল ইন্ডিয়া মোটরস ওনারস এসোসিয়েশনের সভাপতি মহান্দার সিংহ, কোলকাতা সিএন্ড এফ এজন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি রাজু গোস্বামী, ফেডারেশন অব ট্রান্সপোর্ট ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সজল ঘোষ, বনগাঁও মোটরস ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি দিলিপ দাস, সীমান্ত পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি অশোক দেবনাথ, কোলকাতা সিএন্ড এফ এজেন্টস ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি খোকন পাল ও বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম, শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল, কাস্টমসের সহকারী কমিশনার উওম চাকমা, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি শেখ মাসুদ করিম, বিজিবির কোম্পানী কমান্ডার মনির হোসেন, ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি শামসুর রহমান, এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি আলহাজ্ব নুরুজ্জামান, সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক লতা, যুগ্ম সম্পাদক মহসিন মিলন, জামাল হোসেন, সিএন্ডএফ স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিন, হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গনি প্রমুখ।

সভায় জানানো হয়, গত বছরের ২ আগস্ট থেকে বেনাপোল বন্দরের সাথে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ২৪ ঘন্টা বাণিজ্য শুরু হয়। কিন্তু বন্দরের জনবল সংকট ও অবকাঠামোগত সমস্যায় সপ্তাহে সাত দিনের পরিবর্তে এখন ছয় দিন বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে। বন্দরে জায়গা সংকটে খালাসের অপেক্ষায় দিনের পর দিন ভারতীয় ট্রাক আমদানি পণ্য নিয়ে বন্দরে দাঁড়িয়ে থাকায় মারাত্বক ভাবে লোকশানের কবলে পড়ছে ব্যবসায়ীরা। বন্দরে অগ্নিকান্ড আতঙ্ক ও আমদানি পণ্যের নিরাপত্তা সংঙ্কায়ও ভুগছেন। এসব ক্ষতি কাটিয়ে কিভাবে দ্রুত বাণিজ্য সম্প্রসারন হয় তা নিয়ে দুই দেশের বাণিজ্যের সাথে সংশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে দু’দেশের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী কোর কমিটি গঠন, বন্দরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।