যশোরে বেড়েছে মসলার দাম, স্থিতিশীল রয়েছে কাঁচাবাজার

আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা সামনে রেখে যশোরে সকল প্রকার মশলাজাতীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে কাঁচাবাজার, মাছ ও মাংশের দাম এখনো পর্যন্ত স্থিতিশীল আছে। বুধবার যশোরের বড়বাজার, রেল স্টেশন বাজার ও তালতলা বাজারে একই চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, আদার কেজি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ টাকা। দাম বেড়েছে রসুনেরও। গতসপ্তাহে রসুনের দাম ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে এখন রসুনের দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকায় বাজার মূল্য দাড়িয়েছে। ভারতীয় পেয়াজ এর দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশী পেয়াজের কেজি প্রতি ৫০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।

বড় বাজারের পেয়াজ বিক্রেতা নিপেন পাল বলেন, ভারতীয় পেয়াজের চাপ আছে বলে দেশী পেয়াজের দাম এখনো পর্যন্ত বাড়েনি।

এদিকে কাচা মরিচের দাম ১২০ টাকা হতে কমে, ৮০ টাকা কেজিপ্রতি বিক্রয় হচ্ছে। আর শুকনো মরিচ অপরিবর্তিত ২২০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। দাম বেড়েছে ডালচিনির ও এলাচের। খুচরা বাজারে ডালচিনি ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল। যার দাম বৃদ্ধি পেয়ে কেজি প্রতি ৩২০ টাকায় এ সপ্তাহের বাজার মূল্য হিসেবে দাড়িয়েছে। আর এলাচ প্রতি ১০০ গ্রাম ১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল যা বর্তমানে ২০ টাকায় বিকোচ্ছে।

কাঁচাবাজার মোটামুটি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। পটল ১৫ টাকা, পেপে ২০ টাকা, ওল ৩০ টাকাসহ ঝিঙ্গা, ধুন্দুল, কচুরমুখী,কচুর লতি, বরবটি, কাকরোল,লাউ, কুমড়া, পুইশাক, সবুজ শাক, লালশাক ইত্যাদি ৩০-৩৫ টাকার মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে। আর টমেটো ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার দরের উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন হয়নি। তবে ইলিশ মাছের দাম কমেছে হঠাৎ করেই। ইলিশ মাছ গত সপ্তাহে কেজি প্রতি ৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছিল যা কমে ৫৫০-৬০০ টাকায় এসে দাড়িয়েছে। ইদের আগে হঠাৎ ইলিশের দাম কমে যাওয়ায় খুশি ক্রেতাগণ।

বড় বাজারের মাছের বাজারে কথা মাছ কিনতে আসা খুরশীদ মহল এর সাথে। তিনি বলেন, ইলিশ মাছের দাম কমে যাওয়ায় তিনি খুব খুশি। তিনি মন্তব্য করেন, ইলিশ মাছের দাম যদি এমন কম থাকে তাহলে মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ ইলিশ মাছ কিনতে পারবে।

তবে হঠাৎ করেই কেন ইলিশের দাম কমে গেল তা জানতে চাইলে ইলিশ মাছ বিক্রেতা শাহীন আলম বলেন, বাজারে ইলিশ মাছের আমদানী বেশী হওয়ায় ইলিশ মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে রুই মাছ ১৪০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া আকারভেদে ১২০-১৫০ টাকা,পাঙ্গাস ১০০-১১০ টাকা, শোল মাছ ৩৬০ টাকা ও বাটা ১৩০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার ডিম প্রতি হালি ২৬-২৭ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩০-৩২ টাকায় এসে দাড়িয়েছে। আর দেশী হাস-মুরগীর ডিম ৪০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে স্থিতিশীল আছে মাংসের বাজার। বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস কেজি প্রতি ৪৫০ টাকা, ব্রয়লার ১৩০ টাকা, সোনালী ২০০ টাকা, লেয়ার ২০০ টাকা এবং দেশী মুরগী ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।