যশোরের কেশবপুরে উপজেলা প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস নানা কর্মসূচী পালনের মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।
দিনের শুরুতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর মুরালে পুস্পমাল্য অর্পন, শোকর্যালী, শিশু একাডেমীর বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মঝে পুরস্কার বিতরণ ও যুব লোনের চেক বিতরণ, পুরস্কার বিতরন ও আলোচনা সভা ও দরিদ্র ভোজের আয়োজন করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত কর্মসুচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেশবপুরের সাংসদ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক। অপরদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কেশবপুর প্রেসক্লাব চত্বরে বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করেছে।
কেশবপুর আবু শারাফ সাদেক অডিটোরিয়ামে সকাল দশটায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক বলেন, শুধু দেশেরে জন্য বঙ্গবন্ধুকে তিন হাজার ৫৩ দিন কারাগারে কাঁটাতে হয়েছে। পাকিস্তানীরা চেয়েছিলো বাংলাদেশের মানুষ মেরে এখানকার মাটি দখল করতে। সেজন্য তারা এখানে কোন উন্নয়ন করতো না। শেখ মুজিবুর মানেই বাংলাদেশ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানূর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ সময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তপন কুমার ঘোষ, মন্ত্রী পুত্র তানভির সাদেক, ওসি সৈয়দ আব্দুল্লাহ, জেলা পরিষদের সদস্য হাসান সাদেক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা সাদেক, মহিলা লীগের রেবা ভৌমিক, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ, এ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
অপরদিকে কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে কেশবপুর প্রেসক্লাব চত্বরে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক রমেশ চন্দ্র দত্তের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি কাজী রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা, পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক এ্যাড. মিলন মিত্র, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রাবেয়া ইকবাল, ফতেমা খাতুন, যশোর জেলা প্রজন্মলীগের সদস্য আশরাফুজ্জামান প্রমুখ। দিবসটি স্মরণে কেশবপুর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ, দোরমুটিয়া দাখিল মাদ্রাসা, কপোতাক্ষ আইডিয়াল একাডেমিসহ কেশবপুরের শিক্ষা ও সাং®কৃতিক প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করা হয়।