রাজগঞ্জের ঝাঁপা বাঁওড়ের উপর নির্মিত দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু ভাসমান সেতুর উদ্বোধন

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের বৃহতম ঝাঁপা বাঁওড়ের (গুরুচরণ ঘাটে) উপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু ভাসমান সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে গ্রামবাসির যোগাযোগ ব্যবস্থার দোর খুলে দেওয়া হয়েছে৷

soponশুক্রবার বিকেলে বাঁওড়ের গুরুচরণ ঘাটে ভাসমান সেতু উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য্য৷

মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন দফাদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জি এম মজিদ, চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি, আব্দুল হামিদ সরদার, ইসলামী ব্যাংক বিভাগীয় ব্যবস্থাপক জয়নাল আবেদীন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স ম আলাউদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা প্রভাষক মিজানুর রহমান, আব্দুর রশিদ প্রমুখ৷

এছাড়া উপজেলা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মিবৃন্দ ও সূধী সমাজ উপস্থিত ছিলেন৷ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শিক্ষক কামাল হোসেন৷

উল্লেখ্য, স্থানীয় ঝাঁপা উন্নয়ন সম্মিলিত ফাউন্ডেশনের ১৫০ জনের নিজস্ব অর্থয়ানে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে ঝাঁপা বাঁওড়ের উপর নির্মিত ১২ ফুট চওড়া এবং প্রায় হাজার ফুট লম্বা দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু ভাসমান সেতু৷ এ সেতু তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে ব্যারেল- ১ হাজার ১শত ৪০ পিচ, লোহার শীট- ৪৭ হাজার ৭ শত কেজি, লোহার এ্যাংগেল- ৯ হাজার কেজি৷

ঝাঁপা উন্নয়ন সম্মিলিত ফাউন্ডেশনের সভাপতি আব্দুল জলিল জানান, প্রথমে আমাদের খেয়াঘাটে একটি ভাসমান সেতু তৈরি করার জন্য স্থানীয়দের সাথে কথাবলি৷ তারপর চলতি বছরের জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে খেয়াঘাটে ভাসমান সেতু তৈরি করার লক্ষ্যে গণ-বৈঠকের আয়োজন করা হয়৷ ওই বৈঠকে ভাসমান সেতু নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং কমিটি গঠন করা হয়৷ পরের মাস থেকেই শুরু হয় সেতু তৈরির কাজ৷ ১২ ফুট চওড়া এবং প্রায় হাজার ফুট লম্বা ভাসমান সেতুটির কাজ৷ সেতুর উপর দিয়ে এলাকার লোকজন খুব সহজেই ছোট-খাট সকল প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারবে৷ এছাড়া, সেতুর ঝাঁপার মুখে গুরুচরণ ঘাটে প্রায় ২শ’ ফুটের ঢালাই ব্রীজের কাজ করা হয়েছে৷ আর সেতুর রাজগঞ্জ মুখে কাঠের গুড়ি পুতে ১৫ ফুট চওড়া করে প্রায় দেড় শত ফুট লম্বা কাঠের রাস্তা তৈরির কাজ করা হয়েছে৷

কথা হয় সেতু তৈরির প্রধান কারিগর জয়নাল আবেদীনের সাথে। তিনি জানান, এ সেতু তৈরির নকশা অনুযায়ী গত ৫/৬ মাস ধরে পাঁচ জন সহকারি কারিগর নিয়ে কাজ করেছি৷ খন্ড খন্ড করে সেতু তৈরি করা হয়েছে৷ ৬৫০ ফুট লম্বা ভাসমান সেতুর জন্য, ২০ ফুট লম্বা করে মোট ৩৫টি খন্ড তৈরিকৃত করা হয়৷ পরে তৈরিকৃত খন্ডগুলো জয়েন্ট করা হয়৷

এ বিষয়ে ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু বলেন, চলতি বছরের শুরুতেই বাঁওড়ে উপর জেলা প্রশাসক ভাসমান সেতু নামে একটি ভাসমান সেতু চালু করা হয়৷ যার ফলে ঝাঁপা গ্রামবাসির যাতায়াতের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি হয়েছে৷ ইউনিয়নসহ এলাকার যথেষ্ট উন্নয়ন হচ্ছে৷ আরো একটি ভাসমান সেতু তৈরি হয়েছে৷ আরও একটি সেতু হওয়ায় এলাকায় আরো বেশি বেশি উন্নয়ন হবে আমি আশাবাদি৷