শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে গাইবান্ধায় পশুর হাট

ঈদুল আযহাকে উপলক্ষে গাইবান্ধা জেলার সব উপজেলার হাটেই জমে উঠেছে গরু-খাসি বেচা-কেনা। শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে পশুর হাট।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাটে প্রচুর পশু ও ক্রেতার আমদানি থাকলেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে দাম নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে দেশি গরুর প্রতি চাদিহা বেশি ক্রেতাদের। কুরবানির পশুর হাটে পশু ও ক্রেতার পদচারণায় খুশি হাট ইজারাদাররা।

জেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের পক্ষ থেকে পশু হাটে জরুরি চিকিৎসা সেবা স্টেররেড-হরমোন ব্যবহার প্রতিরোধে বেশ কয়েকটি ভেটেরিনারি টিম পশু দেখাশুনা ও সেবা দেয়ার দায়িত্বে রয়েছে।

পৌর পশুর হাটে সর্বোচ্চ এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা দাম উঠেছে একটি গরুর। সেই সঙ্গে ৪২ হাজার টাকা দাম উঠে একটি খাসির। কিন্তু এই দামেও গরু ও খাসির মালিক বিক্রি করতে রাজি হয়নি। তারা গরুর দাম হাঁকিয়েছেন দুই লাখ ও খাসির দাম ৬০ হাজার টাকা।

বাদিয়াখালি হাটের ক্রেতা মো. জাহিদ রহমান ও মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, গরু কিনতে আসলেও দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। তবে বাজারে দেশি গরু অনেক, যেহেতু বাজারে এসেছি দাম বেশি-কম যাই হোক কিনবো।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শোভাগঞ্জ হাটের গরু বিক্রেতা হারুন অর রশিদ বলেন, একটি গরুও বিক্রি করতে পারিনি। যে দাম উঠছে তাতে কেনা টাকার কাছেও কেউ যাচ্ছে না। দুটি গরু বাজারে এনেছি। যে খরচ হয়েছে তাও বলছে না ক্রেতারা।

একাধিক হাট ইজারাদারের সাথে কথা বলে জানাযায়, হাট জমে উঠেছে। হাটে অনেক গরু-ছাগল উঠেছে। ক্রেতাও অনেক বেশি। আশা করা হচ্ছে সন্ধ্যার আগেই হাট অনেক বেচা বিক্রি বেড়ে যাবে।