যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় পৃৃথক ঘটনায় নারীসহ পাঁঁচ জনের অস্বাভিক মৃৃত্যু হয়েছে৷
নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার চাঁঁদপাড়া গ্রামের উসমানের ছেলে ফারুক হোসেন (৩৫)৷ একই উপজেলার জিরেট গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে কামাল হোসেন(৩৫)৷ ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার খাজাপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে ফারহানা (১৫)৷ কেশবপুর উপজেলার সরসকাঠি গ্রামের ইসলাম দফাদারের মেয়ে ও আলামিনের স্ত্রী ফারজানা ইয়াছমিন কনা (১৯)। নড়াইল জেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের নবীর খাঁঁর ছেলে বিলায়েত হোসেন(৩৫)৷
ঘটনার বিবরণে জানাযায়, নিহত ফারুক হোসেন শনিবার সকালে যশোর-নড়াইল সড়কের চাড়াভিটা এলাকায় সড়ক দুঘর্টনায় আহত হয়৷ পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে তার মৃৃত্যু হয়৷
নিহত কামাল হোসেনের স্বজনদের দাবি কামাল হোসেন রোববার সকালে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়৷ জরুরী বিভাগের চিকিৎসক শফিউল্লা সবুজ বলেন, পয়জনিং হিস্ট্রি নিয়ে এসেছিলো৷ হাসপাতালে আনার আগে তার মৃৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশের ধারনা মদ খাওয়ার কারনে তার মৃৃত্যু হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্টের পরে সঠিক কারন জানাযাবে।
নিহত ফারহানা মোবাইলে কথা বলার কারনে মা বকাবকি করলে শনিবার বিকালে নিজ বাড়িতে কিটনাশক পান করে৷ পরে স্থানিয়রা উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতে মৃৃত ঘোষণা করেন৷
নিহত বিলায়েত হোসেন শনিবার সন্ধায় নড়াইল-লোহাগাড়া সড়কের রামচন্দ্রপুর বাজার এলাকায় থ্রী হুয়িলারের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়৷ পরে স্থানিয়রা উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে৷ চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোরে মৃৃত্যু হয়৷
নিহত ফারজানা ইয়াসমিন শনিবার সকালে একই এলাকার আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের পুকুরে মাছ ধরছিলো৷ হঠাত তাকে আর খুজে পাওয়া যায়না৷ দুই ঘন্টা পরে স্থানিয়রা ডুবন্ত পানি থেকে মৃৃত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে৷ পরে কেশবপুর থানা পুলিশ শনিবার বিকালে লাশ উদ্ধার করে৷ রোববার সকালে ময়না তদন্ত করার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করে৷
কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক(এস আই) জাহিদুর রহমান চারটি মৃৃত্যুর বিষয় নিচ্চিত করেন৷
অপরদিকে কেশবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) কামরুজ্জামান ফারজানা ইয়াসমিন কনার মৃৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই মৃৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন লোকের বিভিন্ত ধরনের কথার কারনে সন্দেহ হওয়ায় ময়না তদন্ত করা হচ্ছে৷