সাংবাদিক মুকুলের ২০তম হত্যাবার্ষিকী পালিত, বিচার হয়নি দুই দশকেও

দিন, মাস, বছর। এভাবে পেরিয়ে গেছে দুই দশক। আজও যশোরের দৈনিক রানার সম্পাদক আর এম সাইফুল আলম মুকুল হত্যাকান্ডের বিচার পায়নি তার পরিবার, স্বজনসহ সাংবাদিকরা। এই দীর্ঘ সময়ে নানা জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতায় আটকে গেছে এ মামলার বিচারকাজ। প্রতিবন্ধকতা দূর করে মামলা সচল করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। ন্যায্য বিচার দাবি চাওয়ার মধ্যে দিয়ে বৃহস্পতিবার যশোরে পালিত হলো শহীদ সাংবাদিক আর এম সাইফুল আলম মুকুলের ২০তম হত্যাবার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষে সকালে কালোব্যজ ধারন, শোকর‌্যালি, শহীদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে প্রেসক্লাব যশোর, সংবাদপত্র পরিষদ, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। পরে প্রেসক্লাব যশোর ও সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে।

jessore mukul newsমামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ৩০ আগস্ট রাতে রানার সম্পাদক সাইফুল আলম মুকুল শহর থেকে বেজপাড়ার নিজ বাসভবনে যাওয়ার পথে চারখাম্বার মোড়ে দুর্বৃত্তদেও বোমা হামলায় নিহত হন। পরদিন নিহতের স্ত্রী হাফিজা আক্তার শিরিন নাম উল্লেখ না কওে কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা করেন।

পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি যশোর জোনের তৎকালীন এএসপি দুলাল উদ্দিন আকন্দ ১৯৯৯ সালের ২৩ এপ্রিল বিএনপি স্থায়ী কমিঠির সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামসহ ২২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এক পর্যায়ে আইনি জটিলতার কারণে মামলার কার্যক্রম থমকে যায়।

দীর্ঘদিন পর ২০০৫ সালে হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ থেকে মুকুল হত্যা মামলা পুনরুজ্জীবিত করে বর্ধিত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর সিআইডি কর্মকর্তা মওলা বক্স নতুন দুইজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দেন। ২০০৬ সালের ১৫ জুন যশোরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল (৩) এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে (২) ২২ জনকে অভিযুক্ত করে মুকুল হত্যা মামলার চার্জ গঠন করা হয়। এ সময় মামলা থেকে তৎকালীন মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম ও রূপম নামে আরেক আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০১০ সালে মামলার ২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।