‘আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মীর হত্যার দায় খালেদা ও তারেককে নিতে হবে’

যশোর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির বলেছেন, ১৫ ও ২১ আগস্ট একই সুত্রে গাঁথা। ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারের হত্যা করা হয়েছিল আর ২১ আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতাদের হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেদিন আইভি রহমান সহ ২৪ জন নেতাকর্মীর হত্যার দায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিতে হবে। তাদের চক্রান্তে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ নিধনের জন্য গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল।

বৃহষ্পতিবার বিকালে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে উলাকোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠে এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

অ্যাড. মনির এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে দেশ থেকে আওয়ামী লীগ নিচিহৃ করার চেষ্টা করেছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। শত চক্রান্তের পরেও বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগকে দেশের মানুষের হৃদয় থেকে মুছে ফেলতে পারেনি ষড়যন্ত্রকারী খুনিচক্র। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের জেলে রাখা ও হত্যা করা হয়েছে। নেতৃত্ব শূন্য করার জন্য জেলের ভেতরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। রাজাকারদের দেশে এনে রাজনীতি করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তাদের গাড়ীতে জাতীয় পতাকা ও মন্ত্রীত্ব দেয়া হয়েছে। দেশের মানুষ এখন সচেতন হয়েছে। ফলে সেই ইতিহাস বিকৃতকারী ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে সমার্থন করে না।

তিনি আরো বলেন, সংসদ নির্বাচন আগত। নিজেদের মধ্যে কোন দ্বিধা-দ্বন্ধ রাখলে চলবে না। ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে দ্বিমত থাকতে পারে কিন্তু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবাইকে এক কাতারে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে যেকোন মূল্যে আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, সাধারন সম্পাদক মুছা মাহমুদ।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শাহিন-উল-কবীর, জেলা পরিষদ সদস্য ইকবাল আহমেদ রবি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম, জেলা কৃষকলীগের নেতা আকবর হোসেন জাপানী, নির্বাসখোলা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, হাজিরবাগ ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু, বাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক মাস্টার হেলালউদ্দীন খান, হাজিরবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা আসাদুজ্জামান, সাধারন সম্পাদক বজলুর রহমান, নির্বাসখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক আলমগীর হোসেন, বাঁকড়া যুবলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, হাজিরবাগ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক শানা, শংকরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুরুল হক প্রমূখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, শংকরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মাস্টার আদম শফিউল্লাহ।