বাংলাদেশ থেকে রেমিট্যান্স হিসেবে বছরে ৪০০ কোটি ডলার ভারতে যাওয়ার তথ্যটি ‘অবিশ্বাস্য’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। তথ্যটি সঠিক নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) বস্ত্র খাতের একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ দাবি করেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অনুষ্ঠানে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘ভারতের প্রবাসী আয়ের চতুর্থ বড় উৎস বাংলাদেশ। এটা নিয়ে আমরা গর্ব বোধ করি।’
তবে তার এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘বাংলাদেশ যে ভারতের রেমিট্যান্সের চতুর্থ উৎস, এটা প্রকাশ করেছিল পিউ রিসার্চ। তাদের ওয়েবসাইটে সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে এ তথ্য উঠেছিল যা পুরোপুরি ভুল, সংবাদটি মিথ্যা।’
তিনি বলেন, ‘এ দেশে ভারতীয় নাগরিকদের একটি ছোট দল কাজ করে। এটা অবিশ্বাস্য যে তাদের পক্ষে ৪০০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স তথা প্রবাসী আয় পাঠানো সম্ভব।’
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে পিউ রিসার্চের বরাত দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় বাংলাদেশকে ভারতের রেমিট্যান্স আয়ের পঞ্চম উৎস বলে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে বছরে ৪০৮ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পায় ভারত।
এদিকে গত ২ জুলাই আরেকটি পত্রিকায় বাংলাদেশ থেকে ভারত এক হাজার কোটি ডলার আয় করে বলে উল্লেখ করা হয়। যদিও প্রতিবেদনে কোনো প্রতিষ্ঠানের বরাত দেয়া হয়নি।