মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতিদিন লেনদেন ৯৯৪ কোটি টাকা: অর্থমন্ত্রী

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৯৯৪ কোটি টাকা লেনদেন হয় বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় সংসদকে অর্থমন্ত্রী জানান, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের বর্তমান গ্রাহক প্রায় ৬ কোটি ৪০ লাখ। এরমধ্যে প্রায় ৩ কোটি ৬ লাখ গ্রাহক সক্রিয়ভাবে লেনদেন করছেন।

ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য একেএম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৪ হাজার ৬১২ দশমিক ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক সাহায্যের আশ্বাস পাওয়া যায়। এরমধ্যে ৬ হাজার ২৯০ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ডলার পাওয়া গেছে।

খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী মুহিত জানান, বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ৩০৬টি। এরমধ্যে জেড ক্যাটাগরির ৪৪টি।

বেসরকারি পর্যায়ে পেনশন ব্যবস্থা পরীক্ষামূলকভাবে প্রবর্তনের কাজ চলতি অর্থবছরে
কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, বেসরকারি পর্যায়ে কর্মরতদের জন্য একটি টেকসই সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা পরীক্ষামূলকভাবে প্রবর্তনের কাজ এ অর্থবছরেই শুরু হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ৯৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সরকারি প্রতিষ্ঠানে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের তথ্য তুলে ধরেন। মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ৩১ মে পর্যন্ত হিসাব মতে, সরকারি প্রতিষ্ঠানে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ ৬৬৮ কোটি ৪২ লাখ ৭০ হাজার। এছাড়া আধা সরকারি ও বেসরকারি খাতে বকেয়া বিল ৭৬৬ কোটি ৮৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে, যার পরিমাণ ৯৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জাতীয় সংসদকে বলেন, ‘বেসরকারিভাবে উদ্যোক্তা নিয়োগের মাধ্যমে আইপিপি হিসেবে বর্জ্য থেকে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩৫ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বর্জ্য সরবরাহ ও জমি প্রদানের বিষয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বোর্ড ও সিটি করপোরেশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বর্জ্যভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।’