যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেছেন, মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পথে থাকা বাংলাদেশের জন্য অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সোমবার (১৭ সেপ্টেস্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শান্তিতে বিজয়’ শীর্ষক একটি নির্বাচনি ক্যাম্পেইন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
বার্নিকাট বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তির রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় পরিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের স্বাধীনতা থাকা উচিত।’
রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মী ও সমর্থকদের অবশ্যই মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকা, প্রচারণা চালানো, ভয়ভীতি, প্রতিশোধ বা জবরদস্তিমূলক বিধিনিষেধ ছাড়াই সমাবেশ করার স্বাধীনতা থাকতে হবে বলেও তিনি মনে করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশিদের অবশ্যই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতিটি পর্যায়ে নির্বাচনের আগে, নির্বাচন চলাকালে এবং নির্বাচনের পরে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অহিংস আচরণের আহ্বান জানাতে হবে।’
একই ধরনের মত প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত এলিসন ব্লেক বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের প্রাপ্য। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সমর্থন করি। আজকে আমরা সবাই শান্তির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমস্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদি কেউ মিথ্যা প্রচারণা না চালায়, অনর্থক গালি না দেয় এবং আক্রমণ না করে, তবে শান্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব।’
বিএনপি নেতা ড. মঈন খান বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশও চাই।’ তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যায় বিচার জরুরি।’
উল্লেখ্য, ‘শান্তিতে বিজয়’ শীর্ষক এই নির্বাচনি ক্যাম্পেইন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ৪০টি জেলার ৪০০-এর বেশি রাজনীতিক শান্তিপূর্ণ ও অহিংস নির্বাচনের শপথ নেন।
ইউএসএআইডি ও ইউকেএইড-এর যৌথ অর্থায়নে এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল-এর ‘স্ট্রেন্দেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ’ প্রকল্পের আওতায় ক্যাম্পেইনটি পরিচালিত হচ্ছে।