‘উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে নৌকার বিকল্প নেই’

যশোর শহর আওয়ামী লীগের ১ ও ৯ নং ওয়ার্ড আয়োজিত কর্মী সভায় সংসদ কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, সকল ভুলত্রুটি ভুলে দলমত ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌর্কা মার্কায় ভোট দিতে হবে। একমাত্র নৌকা মার্কা জয়যুক্ত হলেই দেশের উন্নয়নের চাকা সচল থাকবে। দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে। দেশে কোন অশুভশক্তির আঁচ লাগতে পারবে না। হাওয়া ভবন দ্বারা কারো আর নতুন করে নির্যাতিত হতে হবে না। দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার থাকবে না। ধনী গরীব দুঃখী সবাই মিলে সুন্দরভাব বসবাস করতে পারবে।

বুধবার নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ায় অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও শহর আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেনের সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি বলেন, শেখ হাসিনা সারাবিশ্বের কাছে দেশকে উন্নয়নের রোল মডেল করেছেন। বিশ্বনেতারা উন্নয়নের ফর্মূলা জানতে শেখ হাসিনার কাছ থেকে বুদ্ধি-পরামর্শ নিচ্ছেন। কিভাবে অল্প সময়ের মধ্যে এতো উন্নয়ন করা সম্ভব এর রহস্য জানতে বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনা দিকনির্দেশনা নিচ্ছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে এখন আলোচিত। শিক্ষাদিক্ষা, খাদ্য, স্বাস্থ, চিকিৎসায়, অর্থনীতিতে বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তানসহ এশিয়ার অনেক ভাল ভাল দেশকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। আগামীদিনে এ সাফলতা ধরে রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার কোন বিকল্প নেই।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর যশোরের প্রতি বিশেষ নজর রয়েছে। উন্নয়নের তালিকায় তিনি যশোরকে অনেক উপরে রেখেছেন। তিনি যশোরকে প্রথম ডিজিটাল জেলা, শেখ হাসিনা সফটওয়্যাক পার্ক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল, ভৈরব নদ খনন সহ প্রভুত উন্নয়ন করে যশোরবাসীকে সম্মানিত করেছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নৌকাকে বিজয়ী করে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানকে রক্ষা করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনি খান পলাশ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সবুর হেলাল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সুকেন মজুমদার, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেতারা খাতুন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান মিঠু, যুগ্ম-সম্পাদক লুৎফুর কবীর বিজু, জেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির হোসেন টগর, সহ-সভাপতি সৈয়দ মেহেদী হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুদ্দিন মিঠু, দপ্তর সম্পাদক হাফিজুর রহমান, সদস্য জাহিদুর রহমান লাবু, সদর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক অশোক কুমার বোস, যুগ্ম-আহবায়ক মাজহারুল ইসলাম মাজহার ও শহীদুজ্জামান শহীদ, শহর যুবলীগের আহবায়ক মাহামুদুল হাসান মিলু, যুগ্ম-আহবায়ক সোলাইমান খান র‌্যাফেল ও মেহেবুব রহমান ম্যানসেল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ সরদার প্রমুখ।