শাহবাগে অবরোধ, যোগ দিলেন প্রতিবন্ধীরাও

সরকারি চাকরিতে কোটা বহালের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আবার অবরোধ শুরু করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার বিকাল তিন টার পর থেকে তারা এ অবরোধ শুরু করে।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা তুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের পর মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে বুধবার বিকালে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। টানা অবস্থান চালিয়ে গিয়ে বৃহস্পতিবার তারা কর্মসূচি শিথিলের ঘোষণা দেয় নয় ঘণ্টার জন্য।

শুক্রবার মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার জন্য ভোর ছয়টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যযন্ত শাহবাগ মোড় খোলা রাখার কথা জানায় আন্দোলনকারীরা। আর এই সময় শেষ হওয়ার পর তিনটার দিকেই আবার শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় তারা।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পাশাপাশি এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন প্রতিবন্ধীরাও। সময় গড়ানোর সাথে সাথে আন্দোলনকারীদের সংখ্যাও বাড়ছে।

শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখায় কারণে ছুটির দিনেও শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মৎস্য ভবন, এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কারওয়ান বাজারের দিক থেকে আসা গাড়িগুলো আটকা পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন ছুটির দিনে কোনো কাজ বা ঘুরতে বের হওয়া মানুষেরা।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ শতাংশসহ নিয়োগের ক্ষেত্রে কোট রাখা হয় মোট ৮০ শতাংশ। পরে তা ধীরে ধীরে কমিয়ে এনে ৫৬ শতাংশ করা হয়। তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশে হাত দেয়নি কোনো সরকার।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা তাদের সন্তানদেরকেও দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতপন্থীরা নানা সময় আন্দোলনের চেষ্টা করেছে। তবে তারা ব্যর্থ হয়।

তবে গত ফেব্রুয়ারিতে কোটা সব মিলিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। আর নানা ঘটনাপ্রবাহের পর গত বুধবার মন্ত্রিসভা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা পুরোপুরি তুলে দিয়ে সাধারণ মেধা তালিকার ভিত্তিতে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। পরদিন জারি হয় প্রজ্ঞাপন।

তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে আগের মতোই কোটা বহাল আছে। আর কোটা নিয়ে আন্দোলনকারীরা এসব চাকরিতেও কোটা রাখার সমালোচনা করছে।