নদী দূষণমুক্ত রাখতে মহানগরগুলোতে আর নতুন করে কোনো শিল্প-প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।
শুক্রবার দুপুরে সাভার আশুলিয়ার বেড়িবাঁধ এলাকার ল্যান্ডিং স্টেশনে ৮৪৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করে নদী দখলমুক্ত রাখতে সীমানা পিলার, নদী রক্ষাবাঁধ, ইকো পার্ক, ওয়াকওয়ে জেটি নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এই প্রকল্পে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যার নদীর পাড় ঘেঁষে ঢাকাসহ চারপাশের এলাকায় ৫২ কিলোমিটার হাঁটার রাস্তা (ওয়াকওয়ে), নদী চিহিৃত করার লক্ষ্যে ১০ হাজার ৮২০টি সীমানা পিলার, তিনটি ইকো পার্ক, ৪৪ হাজার ৭৮৩ মিটার নদী রক্ষাবাঁধ নির্মাণ করার কথা ঘোষণা দেন মন্ত্রী শাজাহান খান।
চার বছর মেয়াদী এই প্রকল্পে দেশীয় ২৫টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রকল্প কাজ করবেন বলে জানানো হয়। এই প্রকল্পে ঢাকা নদী বন্দরের রামচন্দ্রপুর-বসিলা, রায়েরবাজার খাল-কামরাঙ্গীরচর, হাসনাবাদ-কাওটাইল, সদরঘাট-বাবুবাজার ব্রিজ, ফতুল্লা-ধর্মগঞ্জ, টঙ্গী নদী বন্দরের বাতুলিয়া উজানপুর, পাগার মৌজা-হারবাইদ, আশুলিয়া-কামারপাড়া (ঢাকা-গাজীপুর প্রান্ত), নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের ডিইপিটিসি, সাইলো-কুমুদিনী, সুতলানা কামাল-কাঁচপুর সেতু মোট ৫২ কিলোমিটার হাঁটার রাস্তা (ওয়াকওয়ে) নির্মাণ করা হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান প্রমুখ।