ওটির ইনচার্জের বিরুদ্ধে অপারেশন সামগ্রী বাইরে বিক্রির অভিযোগ

jessore hospital

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের অপারেশেন থিয়েটার (ওটি) ইনচার্জের বিরুদ্ধে অপারেশন সামগ্রী বাইরে বিক্রি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।

সুত্র জানায়, রোগির সিজার, সার্জারি ও অর্থো রোগিরা অপারেশন করতে আসলে তাদের হাতে ওষুধের তালিকা ধরিয়ে দেন এই ইনচার্জ, রোগি ও তাদের স্বজনেরা যথা নিয়মে ওষুধ ক্রয় করে নিয়ে এসে ইনচার্জের হাতে তুলে দেন। ওটি ইনচার্জ রোগিদের ক্রয়কৃত মালামাল রেখে দিয়ে সরকারি হাসপাতালের সরবারাহ থাকা ওষুধ ও সার্জিক্যাল সামগ্রী দিয়ে অপারেশন সম্পন্ন হয়। এদিকে রোগির ক্রয় করা মালামাল প্যাকেট ভর্তি ইনচার্জের কাছে রেখেদেন বলে যানাযায়।

সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে জানায়, এই ইনচার্জ একসময় ঝিনাইদাহ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের গাইনি বিভাগের ওটি ইনচার্জ ছিলেন সেখানেও তার নানান অনিয়মের কথা শোনা যায়।

জানাযায়, অটিতে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণীর এক মহিলা কর্মচারির মাধ্যমে শহরের বউ বাজার সংলগ্ন লেদু মিয়ার বাড়িতে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে সেখানে ওষুধসহ বিভিন্ন অপারেশন সামগ্রী রেখেছেন।

বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়ারা জানান, এইখানে সালমা থাকেননা শুধু মালামাল থাকে। এসব বিষয় অন্য কোন সিনিয়ার স্টাফ প্রতিবাদ করলে অদৃশ্য শক্তির বলে তার ডিউটি রোস্টার পাল্টিয়ে অন্য ওয়ার্ডে দেয়া হয়।

জানতে চাইলে ওটি ইনচার্জ সাবিনা বেগম বলেন, আপনি আরএমও’র সাথে যোগাযোগ করেন আর এইসব অভিযোগ সত্য নয়।

ওটির কর্মচারি সালমার জানান, অমি ওই ঘরটি অনেক আগ থেকেই ভাড়া নিয়ে থাকি রুমের মধ্যে যে মালামাল দেখেছেন সেগুলো কার্টুন আর অপ্রয়োজনিয় জিনিসপত্র রাখা আছে।

ধানপট্টি বউবাজার এলাকার মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি তারা বলেন, সালমা নিজে থাকেননা শুধু মালামাল থাকে আবার সেগুলো অপ্রযোজনিয় মোটেই বোধগম্য নয়।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: আবুল কালাম আজাদ লিটু বলেন, হাসপাতালের কর্মচারি নিজে বসবাসের জন্য ঘর ভাড়া নিতেই পারেন কিন্তু নিজে না থেকে হাসপাতাল সামগ্রী নিয়ে ওখানে রাখতে পারেননা।

একর্মকর্তা আরো জানান, বিষয়টা আমার জানানেই তবে ক্ষতিয়ে দেখে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।