‘ক্ষমতার পরিবর্তন চাইলে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ক্ষমতা পরিবর্তনে নির্বাচনের বিকল্প না থাকায় বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতার পরিবর্তন চায়। কিন্তু ক্ষমতার পরিবর্তন হতে হলে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। ক্ষমতার পরিবর্তন চাইলে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।’

রোববার রাজধানীর উত্তরার আজমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আমির কমপ্লেক্সের সামনে আগামী জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে দলের সপ্তাহব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচির শেষ দিনে লিফলেট বিতরণপূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের মানুষ বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস, নাশকতা ও সহিংসতাকে পছন্দ করে না। তারা নির্বাচন বানচাল ও সরকার পতনের আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও নাশকতা করেছে এবং পেট্রলবোমা মেরে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তাই জনগণ কখনো বিএনপিকে বিশ্বাস করবে না। বিএনপি দেশের একটি গুজব সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল। তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চলানো হয়েছিল বলে গুজব ছড়িয়েছিল।’

কাদের বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিব আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বলেও তারা গুজব ছড়িয়েছিল। কিন্তু বিএনপির নেতারা যখন জাতিসংঘে যান, তখন জাতিসংঘ মহাসচিব এক বিশিষ্ট ব্যক্তির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে ঘানায় অবস্থান করছিলেন। জাতিসংঘের মহাসচিবের আমন্ত্রণপত্র নিয়ে যারা দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে তাদের কাছে দেশ, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন কখনো নিরাপদ থাকতে পারে না।’

বিএনপি নির্বাচন বানচালের নামে আবার সন্ত্রাস ও নাশকতা করতে চাইলে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রতিহত করতে পারবেন কি না প্রশ্ন রেখে কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের যেকোনো ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করার জন্য আপনাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আমলনামা রয়েছে। যারা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য তাঁরাই মনোনয়ন পাবেন। তবে দলীয় মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে যিনি বিদ্রোহ করবেন তাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনো ক্ষমা করবেন না। দলে আর কখনো তাঁর জায়গা হবে না।’

সমাবেশ শেষে ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে আশপাশের বিভিন্ন বিপণিবিতানে সরকারের উন্নয়ন ও অর্জন এবং বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নাশকতা নিয়ে তৈরি লিফলেট বিতরণ করেন।

আওয়ামী লীগের সপ্তাহব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচির আজ ছিল শেষ দিন। গত ১ অক্টোবর সোমবার রাজধানীর গুলশানের ২নং গোলচক্কর কাঁচাবাজারের সামনের সমাবেশ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু করা হয়। আজ উত্তরার আজমপুরের এ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শেষ হয়। এই সাতদিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ২৫টি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।