মাত্র ৩৫ হাজার টাকার জন্য চিকিৎসা হতে পারছে না মমতা

১৪ বছর আগে ৩ সন্তান রেখে স্বামী দাউদ হোসেন চলে গেছেন ঢাকায়। সন্তানদের কোন খোঁজ খবরই রাখেন না জন্মদাতা পিতা। সন্তানদের পড়ালেখা আর সংসার চালাতে তাই বাসা বাড়িতে কাজ বেছে নেন মা মমতা নাহার মম (৪৫)। জীবন যুদ্ধের কঠোরতর সংগ্রামে তার পাশে দাড়ান ঝিনাইদহ শহরের কিছু হৃদয়বান মানুষ, যারা মমতাকে অর্থ দিয়ে সাহস দিয়ে সহায়তা দিয়ে আসছিলো। সব মিলিয়ে বেশ ভালই চলছিল তাদের।

মমতার বড় ছেলে সাকিবুল হাসিব এখন এসএসসি পরীক্ষার্থী। আর বড় মেয়ে শ্রাবন্তি অনণ্যা ৮ম শ্রেনীতে পড়ছে। ছোট মেয়ে রেজওয়ানা স্বর্ণা পড়ছে ক্লাস থ্রিতে। ঝিনাইদহ শহরের পবহাটী মাঠপাড়ায় মম তিন সন্তান নিয়ে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। তার স্বামীর বাড়ি মাগুরার রাঘবদাইড় গ্রামে।

সম্প্রতি মমতা নাহার মম ঝিনাইদহ শহরের (থানার সামনে) পৌর মার্কেটে যান কাজের জন্য। সেখান থেকে নামতে গিয়ে দুই তলা থেকে নিচে পড়ে যান। তার দুই হাত ভেঙ্গে চুর্নবিচুর্ণ হয়ে যায়। আঘাত পান মেরুদন্ডে। পরের বাড়িতে কাজ করে খাওয়ার আশা দুরাশায় পরিণত হয়। তাকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ১১ দিন থাকার পর চিকিৎসকরা দ্রুত অপারেশনের জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন। কিন্তু ঢাকায় চিকিৎসা হওয়ার সমর্থ নেই মমতা নাহার মমর।

এমনকি ঢাকায় যাওয়া আসার গাড়ি ভাড়া পর্যন্ত নেই তার। তাই বিনা চিকিৎসায় পড়ে আছেন নিজ বাড়িতে। ঝিনাইদহ শহরের প্রাইভেট প্রাকটিশনার ডাঃ নাজমুল হুদা তার হাতের অপারেশন করার আগ্রহ দেখিয়েছেন। কিন্তু অপারেশন, আনুসাঙ্গক জিনিস ও ওষুধ কেনার মতো সামর্থ নেই তার। ওষুধসহ তার দুই হাতের অপারেশনের জন্য লাগবে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা। কিন্তু এই টাকাও সে জোগাড় করতে পারছে না।

তিনি সমাজের দানশীল মানুষের দারস্থ হয়েছেন। কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি মমতা নাহার মমর জন্য সাহায্য পাঠাতে চাইলে ব্যাংক হিসাবঃ মমতা নাহার (মম) বিকাশ নং ০১৮৫৮৯৯৯৫৫৭ অথবা বেসিক ব্যাংক, হিসাব নং ২১৭২, ঝিনাইদহ শেখ ভবন, এইচ এস এস সড়ক কলাবাগান এই ঠিকানায় আর্থিক সহায়তা পাঠাতে পারেন।