রাজগঞ্জ অঞ্চলে চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ অঞ্চলের ৬টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমের রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বোর ইরি ধান কাঁটা মাড়ায়ের শেষে তিন মাস অতিবাহীত হওয়ার পর কৃষকরা রোপা আমন চাষ শুরু করে।

সরেজমিনে দেখা গেছে- ঝাঁপা, চালুয়াহাটি,মশ্বিমনগগর, রহিতা, খেদাপাড়া, হরিহরনগরসহ এ অঞ্চলের অধিকাংশ মাঠে আমন ক্ষেতে বাম্পার ফলন দেখা যাচ্ছে৷

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পলাশ সরকার বলেন, ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ আবাদের লক্ষ্যে মাত্রা ধরা হয়েছে৷ এবছর আকাশ পানির অভাবে একটু দেড়িতে আমনের চাষ হয়েছে৷ জুলাই’র শেষ দিকে আমনের চারা রোপন কার্যক্রম শুরু হয়ে আগষ্ট’র শেষ পর্যন্ত চলে। আর নভেম্বরের মাঝামাঝী সময়ে পর্যন্ত ফসল ঘরে তুলবে কৃষকেরা। আর এলাকার প্রায় সকল জমিতে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসাথে আমনের পুরো জমিটাতেই পার্চিং ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে। ফলে পোকা-মাকরের আক্রমন অনেকটাই কম।

উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের কৃষক নুর মোহাম্মাদ ও শাহাদাৎ হোসেন বলেন, এ অঞ্চলে প্রতিবছরই আমন ধানের আবাদ ভালো হয়। তারা গত বছরের তুলনায় এবছর অধিক জমিতে আমনের চাষ করছেন। বর্তমানে ধান গাছ কুশিস্তরে রয়েছে। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা সব ধরনের পরামর্শমূলক সেবা দিচ্ছেন বলেও তারা জানান তিনি।

কৃষি কর্মকর্তা পলাশ সরকার জানান, অঞ্চলে আমনের মধ্যে কৃষকেরা ধানী গোল্ড,৭০০৬,৩৩,৩৯,৬২,৭২,৭৫,ও গুটিস্বর্ণা জাতের ধানের আবাদ করেছেন৷

তিনি আরো বলেন, এছাড়া বীজতলা তৈরি, পরিমিত সার প্রয়োগে রোগ-বালাই দমনে কীটনাশক ব্যবহার, সারিবদ্ধভাবে চারা রোপনসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কৃষকদের পরামর্শমূলক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে রোপা আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে জানান তিনি।