যে কারণে মারা গেলেন আইয়ুব বাচ্চু

aiub bacchu

শেষ দিন গুলোতেও গান নিয়ে মেতেছিলেন তিনি। তরুণদের ব্যান্ডের প্রতি আগ্রহী করার জন্য পরিকল্পনাও করেছিলেন। মাত্র দুদিন আগেও রংপুরে কনসার্ট করে এসেছেন তিনি।

কিন্তু হঠাৎ আচমকা ঝড়ে সব থেমে গেল। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার কিছু পরে রাজধানীর পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই তারকা। তার অকস্মাৎ মৃত্যুতে হতবাক হয়ে গেছেন তার ভক্ত-অনুরাগী ও সহকর্মীরা।

সবারই কৌতুহল কী হয়েছিলো বাচ্চুর? কেন এভাবে হুট করেই চলে যাওয়া?

স্কয়ার হাসপাতা‌লের সা‌র্ভিস বিভা‌গের প‌রিচাল ড. মির্জা না‌জিমু‌দ্দিন জানালেন, আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৮টার দিকে তার নিজ বাসাতেই। উনি হার্টের রোগী। তার হার্টের রিদমটা কমে গিয়েছিলো শেষদিকে। সেই রিদম হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে আজ সকালে তিনি মারা যান।

তিনি বলেন, ‌মৃত অবস্থাতেই তাকে তার ড্রাইভার হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাকে নিয়ে পৌঁছানো হয় ৯টা ১৫ মিনিটে। ডাক্তাররা তাকে ৯টা ৫৫ মিনিটে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা যায়, সকালে অজ্ঞান অবস্থায় স্কয়ার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয় আইয়ুব বাচ্চুকে। এ সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা কৃত্রিমভাবে কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন বা সিপিআর (কোনো কারণে যখন হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে যায়, তখন সাময়িকভাবে হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের কাজ কিছু সময় চালিয়ে মস্তিষ্কে রক্ত এবং অক্সিজেন সরবরাহ করা) এর মাধ্যমে হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যকলাপ ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন।

এর আগে স্কয়ার হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক সানোয়ার হোসেন জনপ্রিয় এই কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। স্কয়ার হাসপাতাল সূত্র জানায়, আইয়ুব বাচ্চু সম্প্রতি স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি কিংবা চিকিৎসাধীন ছিলেন না।