সৌদির সম্মেলন বয়কট যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেনের

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য বিনিয়োগ বিষয়ক সম্মেলন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে সৌদি দূতাবাসে সৌদির সরকারের সমালোচক সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের আশঙ্কা প্রবল আকার ধারণ করায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে শক্তিশালী দেশ দু’টি।

বৃহস্পতিবার ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভ নিউচিন এবং ব্রিটিশ বাণিজ্যমন্ত্রী লিয়াম ফক্স রিয়াদ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না।

জামাল খাশোগি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় এই প্রথম সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিল যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। খাশোগি গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুল শহরের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করার পর আর বের হননি।

তুরস্কের কর্মকর্তারা উপযুক্ত দলিল-প্রমাণ পেশ করে জানিয়েছেন, খাশোগিকে ওই কনস্যুলেটের ভেতর নির্যাতন করে হত্যা করার পর তার লাশ কেটে টুকরা টুকরা করা হয়েছে। সৌদি আরব থেকে বিশেষ বিমানে করে আসা ১৫ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল এ কাজ করেছে। কিন্তু রিয়াদ শুরু থেকেই খাশোগি সংক্রান্ত এসব তথ্য অস্বীকার করে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের পাশাপাশি হল্যান্ড ও ফ্রান্সও রিয়াদ সম্মেলন বয়কট করে ঘোষণা করেছে, তাদের বাণিজ্যমন্ত্রীরা ‘মরুভূমির ড্যাভোস’ খ্যাত ওই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না। সৌদি প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমান তার দেশে ব্যাপকভাবে বিদেশি পুঁজি আকৃষ্ট করার জন্য ওই সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। ভবিষ্যতে তেলের ওপর সৌদি আরবের নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যে তিনি এই সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি।

কিন্তু জামাল খাশোগির নিহত হওয়ার ঘটনায় সালমানের সরাসরি হাত থাকার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে বহু বিদেশি কোম্পানি ও দেশ রিয়াদ সম্মেলন বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন। ব্রিটিশ ধনকুবের রিচার্ড ব্রানসন রিয়াদ সম্মেলেন যোগ দিয়ে সৌদি আরবে ১শ কোটি ডলার পুঁজি বিনিয়োগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি খাশোগি হত্যাকান্ডের জের ধরে রিয়াদ সম্মেলন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।