ফখরুল সংস্কারপন্থী, দাবি কাদেরের

রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কারণেই বিএনপি সংস্কারপন্থীদের সক্রিয় করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার দুপুরে উত্তরায় মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংস্কারবাদীরা এতদিন ছিল না, বিএনপি কতটা দেউলিয়া যে এখন আবার তাদের নেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দলের লোকজনকে সংস্কারপন্থী বলে কোণঠাসা করে রেখেছিল বিএনপি। এখন এই লোকরা এসে আন্দোলনে শক্তি যোগাবে, এটা বিশ্বাস করা কঠিন। তাছাড়া ফখরুল সাহেব নিজেও সংস্কারবাদী ছিলেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকারের দরকার কি? নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন তো আছে। নির্বাচন যখন হবে, তখন নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের আন্ডারে। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে সরকার যেভাবে রুটিন ওয়ার্ক করে সেভাবেই হবে। কিন্তু, মূল দায়িত্ব থাকবে নির্বাচন কমিশনের হাতে।’

তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন পুরোপুরি নিরপেক্ষ। আর পরিবর্তনের সময় কই, রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করে এই নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। এখানে বিএনপির লোকও তো আছে।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘এটা কি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ? যে পাঁচজন সর্বসম্মতি না দিলে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না? এখানে পাঁচজনের মেজরিটি যা বলে, তাই সিদ্ধান্ত। এটা বিভক্তি নয়।’

ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি মানা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাত দফার এক দফাও মানা হবে না। এগুলো অযৌক্তিক দাবি।’

ড. কামাল হোসেনকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি শুধু জানতে চাই, ওনার (কামাল হোসেন) মাথা ঠিক আছে কিনা? তিনি সিলেটে গেলেন, এত বড় ঐক্যফ্রন্ট, কয়টা লোক হলো?’

তিনি বলেন, ‘জনমনে এই ঐক্যফ্রন্ট সাড়া জাগাবে না। বড় বড় বাঘা বাঘা নেতারা সেখানে গেলেন বোমা ফাটাতে, জনগণের সাড়া কি মিলেছে? কোনো দিনও মিলবে না। কোনো আন্দোলনও সফল হবে না।’

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা সমর্থন করেছেন— এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কাদের বলেন, ‘করুক, আরো লোক বাড়ুক তাদের। তারা আরো বড় বড় নেতা নিয়ে ঐক্য করুন। কিন্তু কখনো জনসমর্থন পাবে না।’