চট্টগ্রামে জনসভায় ঐক্যফ্রন্ট

সংসদ ভেঙে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে ‘নিরপেক্ষ’ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে চট্টগ্রামে জনসভা করছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

শনিবার দুপুরে নূর আহমেদ সড়কে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কোরআন তেলাওয়াত, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠের মধ্য দিয়ে এই জনসভার কার্যক্রম শুরু হয়।

বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে এ জনসভার প্রধান অতিথি গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন। আর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ জনসভার প্রধান বক্তা।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন, গোলাম আকবর খন্দকার, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, ফরহাদ হালিম ডোনার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমসহ জোটের নেতৃবৃন্দ সভামঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন।

জনসভার প্রথম বক্তৃতা করেন উত্তর জেলা বিএনপির নেতা বেলায়েত হোসেন ও নাজিম উদ্দিন।

জাতীয় যুক্তফ্রন্ট গত ২৪ অক্টোবর সিলেটে জনসভা করার মধ্য দিয়ে সাত দফা দাবিতে জনমত গঠনের কর্মসূচি শুরু করে। চট্টগ্রামে হচ্ছে তাদের দ্বিতীয় জনসভা।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে লালদীঘি মাঠে জনসভায় অনুমতি চেয়ে গত ২১ অক্টোবর পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে অনুমতি না দিয়ে ২৫টি শর্তে বিএনপির কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে এই জনসভা করার অনুমতি দেওয়া হয়।

নাসিমন ভবনের সামনে উত্তর-দক্ষিণমুখে নির্মিত মঞ্চের ব্যানারে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তিসহ সাত দফা দাবির কথা লেখা রয়েছে।

খালেদা জিয়া এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মুক্তি এবং তারেক রহমানের সাজার রায় বাতিলের দাবি সম্বলিত দুটি ডিজিটাল ব্যানারও টানানো হয়েছে জনসভাস্থলে।

জনসভায় আসা নেতা-কর্মীদের জাতীয় পতাকার পাশাপাশি খালেদা জিয়ার আলোকচিত্র সম্বলিত ব্যানার-প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা গেছে।

পুলিশের দেওয়া শর্ত অনুযায়ী এই জনসভা শেষ করতে হবে বিকাল ৫টার মধ্যে। এই কর্মসূচি ঘিরে নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।