খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই ফরমায়েশি রায়: ফখরুল

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জিয়া চ্যারিটেবল মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে এক প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়েছে।

রায়ের পর সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ রায় ফরমায়েশি। আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ রায় দেয়া হয়েছে। আমরা এ রায় প্রত্যাখ্যান করছি।

তিনি আরও বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে- এখন নিম্নআদালতে মানুষ আর ন্যায়বিচার পাচ্ছে না। গোটা দেশে মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে রাজনীতিকে সম্পূর্ণভাবে দূরে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে দেউলিয়া হয়ে গেছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রগুলোকে ব্যবহার করে তারা তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা আবার তারা এখানে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ অতীতেও একদলীয় শাসন মেনে নেয়নি, এখনও মেনে নেবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রীরা বারবারই বলে আসছেন- যে করেই হোক তারা ক্ষমতায় আসবেন।

এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই রায়ের প্রতিবাদে আগামীকাল মঙ্গলবার দেশব্যাপী জেলা সদর ও ঢাকা মহানগরীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এর আগে দুপুরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসনসহ চারজনের সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের ব্যক্তিগত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং বিএনপি নেতা সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ব্যক্তিগত সহকারী সচিব মনিরুল ইসলাম।

রায়ে প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।

এ ছাড়া ট্রাস্টের নামে ঢাকা শহরে থাকা ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রায়ত্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।