সংলাপে বসার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট

oikofont
ফাইল ছবি

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, ‘গতকাল আমরা প্রধানমন্ত্রীকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছিলাম। আজকে জানতে পারলাম তিনি আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সংলাপে বসার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমরা এ বিষয়টিকে স্বাগত জানাই।’

সোমবার (২৯ অক্টোবর) মতিঝিলে মওদুদ আহমেদের নিজ কার্যালয়ে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

মওদুদ আহমেদ বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদেরকে এখনও কবে ও কোথায় সংলাপ হবে তা জানানো হয়নি। এগুলো জানলে আপনাদের জানাবো।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও জেএসডির সভাপতি আসম আব্দুর রব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যদি কালকেই আমাদের সংলাপের জন্য ডাকে, আমরা অবশ্যই তার ডাকে সাড়া দেবো। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে তো আর অসম্মান করা যায় না।’

এদিকে সংলাপের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাড়া দেওয়ায় মঙ্গলবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছেন না বলে জানান বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার কথা ছিল। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী সংলাপের জন্য সাড়া দিয়েছেন তাই আমরা এ মুহূর্তে কমিশনে যাচ্ছি না। কারণ সংলাপে তো নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হবে।’

এ সময় তিনি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার বিষয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে আজকের রায় দেওয়া হয়েছে। যা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আশা করি সরকার খালেদা জিয়ার জামিনের সব বাধা দূর করে তাকে মুক্তি দেবে। এ মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।’

৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘সরকারি মন্ত্রীদের মদতে পরিবহন ধর্মঘটের নামে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে তাদের যে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ সৃষ্টি করা হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মনসুর মন্টু প্রমুখ।