বাগেরহাটে ৬ দস্যু বাহিনীর ৫৪ সদস্যের আত্মসমর্পণ

প্রায় ১০ হাজার ২০০ বর্গকিলোমিটার নিয়ে গঠিত সুন্দরবনকে ‘দস্যুমুক্ত’ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বের একক বৃহত্তম প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বনটি একসময় দাপিয়ে বেড়ানো দস্যুদের আত্মসমর্পণের ধারাবাহিকতায় সবশেষ ছয়টি বাহিনীও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে অস্ত্রসমর্পণ করার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দিলেন।

বৃহস্পতিবার সকালে বাগেরহাটের শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে ওই ছয়টি বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

সকালে ঢাকায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় সুন্দরবনকে ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় যেতে হয়েছে। কিন্তু র‌্যাবের প্রচেষ্টায় সুন্দরবনের অনেক দস্যু আত্মসমর্পণ করেছে। তাই আজ আমরা এই বনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করতে পারি। আমি এ মুহূর্তে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করলাম।

সুন্দরবনে শান্তি ফেরানোয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এসময় ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

আত্মসমর্পণ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় হেলিকপ্টারে করে বাগেরহাট শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

এসময় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মীর শওকত আলী বাদশা, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহা-পরিচালক বেনজির আহমেদ, র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক হাসান ইমন আলরাজিব, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়সহ পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উপস্থিত রয়েছেন।

আনোয়ারুল বাহিনীর আট সদস্য, তৈয়াবুর বাহিনীর পাঁচ, শরিফ বাহিনীর ১৭, ছাত্তার বাহিনীর ১২, সিদ্দিক বাহিনীর সাত ও আল আমিন বাহিনীর পাঁচ সদস্য আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছেন। তারা ৫৮টি অস্ত্র ও তিন হাজার ৩৫১টি গোলাবারুদ জমা দিবেন।