ফের সংলাপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ড. কামালের চিঠি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ছোট পরিসরে সংলাপের জন্য আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলোর জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন।

গত বৃহস্পতিবার ড. কামালের চিঠিতে সাড়া দিয়ে এই জোটের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৪ দলের প্রথম দফা সংলাপ হয়। যদিও এই সংলাপে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেননি জোট নেতারা।

ড. কামাল হোসেনের চিঠি নিয়ে গণফোরামের মোস্তাক আহমেদ ও জগলুল আফ্রিক রবিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে যান।

চিঠিতে ড. কামাল হোসেন লিখেছেন:

প্রিয় মহোদয়, সালাম ও শুভেচ্ছা নিবেন।

গত ১ নভেম্বর গণভবনে অনুষ্ঠিত সংলাপের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। এ আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত আলোচনার পরও আমাদের আলোচনাটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সেই দিন আপনি বলেছিলেন আমাদের আলোচনা অব্যাহত থাকবে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অসম্পূর্ণ আলোচনা সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে অতি জরুরি ভিত্তিতে আমার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে আবারও সংলাপে বসবে আগ্রহী। এই ক্ষেত্রে দফাগুলোর সাংবিধানিক এবং আইনগত দিন বিশ্লেষণের জন্য উভয় পক্ষের বিশেষজ্ঞসহ সীমিত পরিসদের আলোচনা আবশ্যক।

আপনার অপগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সংলাপ শেষ হওয়ার আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করার আহ্বান জানিয়ে ৩ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর জাতীয় ঐক্যফন্টের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতাদের বৈঠকে এই চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।

এছাড়া বৈঠকে এখন থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র হিসেবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দায়িত্ব পালন করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফার আন্দোলন সম্মিলিতভাবে কার্যত এক দফার আন্দোলনে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তার একক দাবির কথাই এখন বলছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এক্ষেত্রে সংবিধানের সংশোধন ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের বিষয়েও বেশ নমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছেন তারা।